1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবার কারণে মা বিপর্যস্ত

৩ জুন ২০১৩

পাঁচ দিনে এক মুহূর্তও বিশ্রাম নেননি৷ সন্তানের জীবন সংকটে, মায়ের মনে কি তখন স্বস্তি থাকে! টয়লেট থেকে উদ্ধার করা চীনের সেই শিশু এখন পুরোপুরি সুস্থ৷ অথচ বাবার কারণে মা-ই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত৷

https://p.dw.com/p/18iFm
A nurse (L) looks at an abandoned newborn baby resting in an incubator after he was rescued from a sewage pipe at a hospital in Jinhua, Zhejiang province May 28, 2013. Firefighters in eastern China rescued the abandoned newborn baby boy lodged in a sewage pipe directly beneath a toilet commode, state television reported. According to local media, the baby is now in stable condition. Picture taken May 28, 2013. REUTERS/China Daily (CHINA - Tags: SOCIETY HEALTH TPX IMAGES OF THE DAY) CHINA OUT. NO COMMERCIAL OR EDITORIAL SALES IN CHINA
ছবি: Reuters

চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের জিনহুয়া শহরের ২২ বছরের এক তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যান অপ্রত্যাশিতভাবে৷ হঠাৎ প্রসবযন্ত্রনা শুরু হওয়ায় ছুটে গিয়েছিলেন টয়লেটে৷ বসার পরপরই বাচ্চাটি বেরিয়ে পড়ে যায় নীচে৷ তরুণী মা নাকি বাচ্চাকে ধরার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ছোট্ট পিচ্ছিল শরীর পিছলে চলে যায় নীচে৷ তারপর টানা দু'ঘণ্টা টয়লেটেই পড়ে ছিল বাচ্চাটি৷ উদ্ধারের পর পাঁচদিন কাটাতে হয় হাসাপাতালের ইনকিউবেটরে৷ জন্ম দিয়েও সন্তানকে মা কাছে পাননি৷ চরম উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছেন পাঁচটা দিন৷ সন্তান যে তাঁর, তা গোপন করার চেষ্টা করেননি তিনি৷ সেদিন বাড়ি ফিরে বাড়িওয়ালার কাছে বলেওছিলেন দুর্ঘটনাটির কথা৷ এসব জেনে পুলিশ নিশ্চিত, সন্তানকে জেনেবুঝে হত্যার চেষ্টা ওই তরুণী করেননি৷ এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবার সম্ভাবনা নেই৷

এ পরিস্থিতিতে সন্তান মায়ের সান্নিধ্যে থাকবে, মা-ছেলে স্বাভাবিক জীবন শুরুর চেষ্টা করলে সেটাই হতো স্বভাবিক৷ কিন্তু দু'ঘণ্টা টয়লেটের পাইপে আটকে থাকা নবজাতক শিশুটির কথিত বাবা বেঁকে বসেছেন৷ সন্তানের দায়িত্ব নিতে অবশ্য তিনি রাজি, তবে সন্তান যে তাঁর সেটা প্রমানিত হবার পরে৷ চায়না নিউজ নেটওায়ার্ককে পুলিশ জানিয়েছে, প্রমানের জন্য শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করাতে চাইছেন সেই তরুণ৷

সুস্থ অবস্থায় সন্তানকে ফিরে পেয়েও তাই মা বিপর্যস্ত৷ পুলিশ জানাচ্ছে, বাবা হয়ে একজন মানুষ নবজাতক সন্তানের ডিনিএ টেস্ট করাতে চেয়েছে শুনে সেই তরুণী এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন৷ পাঁচদিন চোখের পাতা এক করেননি নিজের বাচ্চার জীবন সামান্য ভুলে বিপর্যস্ত হতে দেখে৷ সন্তান সুস্থ হতেই তাঁর বাবার এমন দাবি৷ শরীর, মন আর কত সইবে!

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য