1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে ভারতের ২০১১-১২ সালের বাজেট পেশ

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় আজ সংসদে পেশ করলেন ২০১১-১২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট৷ এই বাজেটকে আর্থিক ভারসাম্যের বাজেট বলে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল৷ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জোর দেয়া হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রের ওপর৷

https://p.dw.com/p/10QpX
বাজেট পেশকালে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ছবি: AP

মুদ্রাস্ফীতি এবং আর্থিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে একটা ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হয়েছে আজ সংসদে পেশ করা ২০১১-১২ সালের বাজেটে৷ বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলেন, ‘‘আমরা রাজকোষ ঘাটতির লাগাম ধরে রেখে উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার বজায় রাখতে পারবো৷'' বলা বাহুল্য, সেটা সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে৷ অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁর পেশ করা বাজেট সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতিতে গোটা বিশ্ব যখন একটা অনিশ্চয়তায় ভুগছে, তখন দেশে খাদ্যসামগ্রীর দাম কমিয়ে আনা সত্ত্বেও উদ্বেগের জায়গাটা রয়েই গেছে৷ তাই এই বাজেটে আছে আরো বেশি আর্থিক সংস্কারের বার্তা৷ সংস্কার বলতে কোন নাটকীয় ঘোষণা নয়, স্বচ্ছ, দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুফল পৌঁছে দেয়াই যার মূল কথা৷''

এজন্য তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে৷ পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রের দিকে বেশি নজর দেয় হয়েছে সরবরাহ ও বন্টনের উন্নতির কথা মাথায় রেখে৷ যেমন ডাল, ভোজ্য তেল ইত্যাদি৷ শিক্ষা ও টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বালের মতে, ‘‘এই বাজেট আমআদমির বাজেট৷ রাজকোষ সুসংহত করার বাজেট৷''

বিজেপি নেতা অনন্ত কুমারের মন্তব্য, ‘‘জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, দুর্নীতি দমনের কোনো ব্যবস্থা নেই৷ ফলে আমজনতার উঠছে নাভিশ্বাস৷'' তবে শিল্পমহল এই বাজেটে মোটামুটি খুশি৷ তাদের জন্য কিছুটা শুল্ক ছাড়ের সংস্থানরাখা হয়েছে৷ মধ্যবিত্তদের জন্য আয়কর ছাড়ের উর্ধসীমা বাড়ানো হয়েছে৷ সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮.৬% শতাংশ হবার আশা৷ কৃষি বিকাশ ৫.৪%, শিল্প বিকাশ ৮.১%, পরিষেবা ৯.৩% হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ উদার করা হবে৷ সেজন্য বিমা, পেন্সন তহবিল, ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধন করার কথা আছে এ বাজেটে৷ এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন ও পরিকাঠামোর মত সামাজিক খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে৷

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিরুপ সরকার এই বাজেট সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘ভারতের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, সেটাকে বেশি নাড়াচাড়া করতে চায়নি সরকার৷ মানে যা আছে তাই থাক৷ তাই সামাজিক প্রকল্পে খুব বেশি নয়, সামান্যই বাড়ানো হয়েছে৷ বাজেটে যেটা করা হয়েছে, সেটা হলো মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানতে কৃষিক্ষেত্রের দিকে নজর দেয়া হয়েছে৷ কৃষি উৎপাদন বাড়লে খাদ্যসামগ্রীর দাম কমতে পারে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য