ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উৎস: ফ্রিম্যাসন থেকে টুইন টাওয়ার
বিমান থেকে ফেলা হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক? ৯/১১ ঘটনার অন্তরালে কারা? ‘কন্সপিরেসি থিওরি– দেন অ্যান্ড নাও’ শিরোনামে ডালহেইম মনাস্টেরির প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে এসব বিষয়৷ তুলে ধরা হয়েছে, এমন ধারণার উৎস আর তা গেঁড়ে বসার গল্প৷
৯/১১: ঘর শত্রু বিভীষণ?
নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার পেছনে কি সন্ত্রাসীরাই দায়ী? নাকি মার্কিন সরকার নিজেই সাজিয়েছে এই ঘটনা? সেদিন ইহুদি কর্মীরা অফিসে যায়নি বলে একটা কথা প্রচলিত আছে, তাদের কাজ নয়তো আবার? প্রদর্শনীতে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে৷ তুলে ধরা হয়েছে, কিভাবে এসব ছড়িয়ে পড়ছে আর মানুষের মনে গেঁথে যাচ্ছে৷
সেমিটিক বিরোধী প্রচারণা
তথাকথিত ‘প্রটোকলস অব দ্য এল্ডারস অব জিয়ন’ আছে প্রদর্শনীতে৷ এই প্রটোকলে বলা হয়, লেখালেখিতে বিশ্ব জয় করার ফাঁদ পেতেছিলেন ১২ ইহুদি নেতা৷ কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন৷ এটি মূলত সেমেটিক বিরোধী লেখক এবং প্রকাশক সার্গেই নিলুসের ফিকশনধর্মী লেখা৷ ১৯০৩ সালে তা প্রকাশিত হয়৷ আধুনিক সময়ে এসেও ওই প্রটোকলটি সেমেটিক বিরোধী ষড়যন্ত্রের মূল কেন্দ্র৷
নাৎসি ষড়যন্ত্র
ইহুদি ষড়যন্ত্রের ধারণার আরেক উৎস নাৎসি মতাদর্শ৷ প্রটোকলস অব দ্য এল্ডারস অব জিয়ন থেকে প্রয়োজনীয় অংশটা খুঁজে নিয়ে, তা নিজেদের মতো ব্যবহার করেছে নাৎসিরা৷ তাদের সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্ট্রোমার’ বা ‘দ্য অ্যাটাকার’ পত্রিকায় এটি ছাপানো হয়েছিল৷
নেগেটিভ এনার্জির ভয়
বারকোড ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীরা, খুব সম্ভবত পকেটে একটি বিশেষ কলম রাখেন৷ তাদের বিশ্বাস, কাউন্টার ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, বারকোড থেকে নেগেটিভ এনার্জির বিকিরণ হয়৷ আর সেই শক্তিকে স্বাভাবিক করে, পকেটে গুঁজে রাখা ওই কলম৷
ষড়যন্ত্রের গন্ধ
একটা গোত্র আছে, দুনিয়ার বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনা আর বিপ্লবের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান তাঁরা৷ তাঁদের ডাকা হয় সিক্রেট সোসাইটি৷ ১৭৮৯ সালের দিকে, ফরাসি বিপ্লবের সময়কার কথা৷ ওইসময়ের ষড়যন্ত্রগন্ধী গোত্র ফ্রিম্যাসনস আর ইল্যুমিনাতিকে দেখা হতো জনগণকে বিভ্রান্ত করার উস্কানিদাতা হিসেবে৷