শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস: ভারত থেকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত রামতীর্থ দর্শন
রামসীতার স্মৃতি বিজড়িত এবং রামায়ণে উল্লিখিত স্থানগুলি দেখানোর জন্য শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস চালু করতে চলেছে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়৷ আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে চালু হবে এ ট্রেন৷
সফরের শুরু
সফর শুরু হবে দিল্লির সফদারজং স্টেশন থেকে৷ প্রথম স্টপ, উত্তর প্রদেশে রামের জন্মস্থান অযোধ্যায়৷ তারপর হনুমানগড়ি, রামকোট, কনক ভবন মন্দির ছুঁয়ে ট্রেন যাবে ভরতের তপস্যাস্থল নন্দীগ্রামে৷ বর্তমান ফৈজাবাদের কাছে অবস্থিত নন্দীগ্রামেই বনবাস থেকে রামের ফেরা পর্যন্ত তপস্যা করেছিলেন ভরত৷
বিহারের সীতামাঢ়ি
কথিত আছে, এখানেই সীতাকে খুঁজে পেয়েছিলেন রাজা জনক৷ তারপর জনকরাজার রাজধানী জনকপুর হয়ে ট্রেন ফের যাবে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে৷ সেখান থেকে প্রয়াগ হয়ে ট্রেন পৌঁছাবে শৃঙ্গারপুর, যেখানে নিষাদ রাজের নৌকায় সীতা এবং লক্ষ্মণকে নিয়ে গঙ্গা পেরিয়েছিলেন রাম৷ এরপরের গন্তব্য মধ্যপ্রদেশের চিত্রকুট এবং নাসিক৷ বনবাসের বেশ কিছু বছর নাকি এখানে কাটিয়েছিলেন রাম-সীতা৷
কর্নাটকের হাম্পি
এরপর কর্নাটকের হাম্পিকে ঢুকবে ট্রেন৷ বনবাসের শেষের দিকে দাক্ষিণাত্যের এই অঞ্চলেই ছিলেন রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণ৷
রামেশ্বরে শেষ
ভারত ভূখণ্ডে শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেসের সর্বশেষ স্টেশন তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম৷ কথিত আছে, সাগর পেরিয়ে লঙ্কা যাওয়ার আগে এখানেই মহাদেবের আরাধনা করেছিলেন রাম৷ তাঁর হাতে তৈরি শিবলিঙ্গই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম রামালিঙ্গম বা রামেশ্বরমলিঙ্গ নামে প্রচলিত৷
তারপর শ্রীলঙ্কা
যেসব তীর্থযাত্রী রামেশ্বরম থেকে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় রামায়ণের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলি দেখতে ইচ্ছুক, তাঁদের প্রথমে ট্রেনে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ৷ সেখান থেকে বিমানে শ্রীলঙ্কা যাওয়া এবং ফিরে আসার সব ব্যবস্থাও করা হবে৷
আসন সংখ্যা
ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৮০০৷
খরচ
দর্শণীয় স্থানগুলো দেখতে লাগবে ১৬ দিন৷ এজন্য জনপ্রতি খরচ হবে ১৫ হাজার ১২০ রূপি৷
খাবারের ব্যবস্থা
তীর্থযাত্রীদের জন্য ট্রেনে থাকবে খাবারের ব্যবস্থা৷
রাত্রিবাস
যেসব তীর্থস্থানে ট্রেন থামবে, সবখানেই তীর্থযাত্রীদের জন্য ধর্মশালায় রাত্রিবাসের ব্যবস্থা থাকছে৷ তাঁদের সহায়তার জন্য সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন টুর ম্যানেজাররা৷ তীর্থযাত্রীদের যাতায়াত এবং মালপত্র পৌঁছে দেওয়া, দর্শণীয় স্থাগুলোতে ভ্রমণের দায়িত্বও তাদের৷