শ্রমিকদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? | পাঠক ভাবনা | DW | 02.05.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

শ্রমিকদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই?

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ড এবং দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব শিল্প মালিকরা কতটা পালন করছেন?

এর আগে প্রতিটি দুর্ঘটনার পর তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সমিতি বিজিএমইএ এমন নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে, যারা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কারখানা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ কিন্তু তারপরও আবারো একটি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ৪০০-এরও বেশি মানুষ, নিখোঁজ রয়েছেন এখনো বহু কর্মী৷ আগের দিন ফাটল দেখা দেয়ার পরও কিভাবে এরকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কারখানা খোলা রেখে কাজ চালানো হলো? ই-মেলটি পাঠিয়েছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, উথালী বাজার, চুয়াডাঙ্গা থেকে৷

‘বিজ্ঞান পরিবেশ' বিভাগে ‘কার্বন নির্গমনে রেকর্ড মাত্রার আশঙ্কা' শীর্ষক সময়োপযোগী প্রতিবেদনটি পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিল৷ প্রতিবেদনটি থেকে জানতে পারলাম, পরিবেশে কার্বন নির্গমনের মাত্রা ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে চলেছে৷ সেই কবে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে বিশ্বজুড়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোতে শুরু হয়েছিল ‘বসুন্ধরা শীর্ষ সম্মেলন'৷ তারপর অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেছে৷ মানুষের মধ্যে সচেতনতাও হয়ত কিছুটা বেড়েছে৷ কিন্তু কাজের কাজ যে খুব বেশি হয়নি, তার প্রমাণ প্রতিবেদনের তথ্যগুলি৷ শুধু রেকর্ড মাত্রায় কার্বন নির্গমন নয়, গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির পরিমাণও বাড়ছে৷ বিশ্ব উষ্ণায়ণ রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে৷ এই অবস্থায় আগামী দিনে ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য' রাখতে গেলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সৌরশক্তির মতো অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে৷ এর সঙ্গে প্রয়োজন ব্যাপক হারে বনায়ন৷ সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যদি দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে ন্যুনতম পরিবেশ চেতনার প্রকাশ ঘটাতে পারে, তবেই এ ধরণি বাঁচবে৷ নচেৎ আগামী প্রজন্মের সামনে সমূহ বিপদ৷ প্রতিবেদনটির জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ৷ নমস্কারান্তে সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

‘ফ্রাংকফুর্ট শহরের বৈশাখী আড্ডা' ছবিঘরটি খুবই ভালো লাগলো৷ জাপানের টোকিওতে হয় ‘বৈশাখী মেলা'৷ এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে আর কোথাও এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে কিনা, জানা নেই৷ প্রবাসী বাঙালিদের দ্বারা আয়োজিত এই ধরনের মিলন মেলার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়৷ ‘জার্মানি ইউরোপ', ‘বিজ্ঞান পরিবেশ' ও খেলার পাতার ছবিঘর আপডেট করা হচ্ছে না কেন?

বার্লিন মিউজিয়াম সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করে৷ ইচ্ছা করে জানতে সাবেক পূর্ব জার্মানির জীবনযাত্রা সম্পর্কে৷ বর্তমান জার্মানির পূর্বাঞ্চলের মানুষদের সমাজ জীবন, আর্থিক অবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা আর তাঁদের চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে৷ তাঁরা কি একত্রীকরণ পরবর্তী জীবনশৈলীতে খুশি? আরও জানতে চাই জার্মানির পূর্বাঞ্চলের কৃষ্টি, কলা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে৷ এই সব বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে মাঝে মধ্যে কিছু প্রতিবেদন তুলে ধরলে ভালো হয়৷ দুটো ই-মেলই পাঠিয়েছেন সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি থেকে৷

গতকাল আমার প্রথম মেল পাঠিয়েছিলাম৷ আজ পড়ে নিলাম ‘কুর্দ সংকটের ঢেউ জার্মানিতে' এবং ‘নাসার সঙ্গে রাশিয়ার নতুন চুক্তি' নিয়ে লেখা দুটি রিপোর্ট৷ ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েবসাইটের সাথে আমার পরিচয় সম্পর্কে বলতে চাই যে, ভারত সরকারের কর্পোরেট বিষয়ক দফতরে আমারই এক সহকর্মী সুভাষ চক্রবর্তীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য আর তাঁরই অনুপ্রেরণায় আজ আমি এমন অনন্য সুন্দর ও জ্ঞানের পরিধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ওয়েবসাইটের জগতে প্রবেশ করতে পারলাম৷

এই ওয়েবসাইটের কথা আমি আমার পরিচিত বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের মধ্যে যদি ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে নিজেকে সার্থক পাঠক বলে মনে করতে পারবো৷ নমস্কারান্তে, ইতি দীনেশ কুমার, গুলমোহর পার্ক, নতুন দিল্লি থেকে৷

- দাদা দিনেশ, আমাদের বিশ্বাস ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট দেখতে দেখতে যদি আপনার এই ই-মেলটি তাঁদের চোখে পড়ে তাহলে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন৷

- মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ সবাইকে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন