শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো ভারত
১৬ জানুয়ারি ২০১১জোহানেসবার্গের এই নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামটিতেই ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে রেকর্ড করেছিল গ্রায়েম স্মিথের দল৷ আর শনিবার ভারতের ১৯০ রান পার হতে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়লো তারা৷ আসলে ওয়ান্ডারার্সের নতুন পিচটির চরিত্রই প্রায় বদলে গেছে বলতে হয়৷ তাই একসময় যেখানে রানের বন্যা ছিল, সেখানে এখন বোলারদের স্বর্গরাজ্য৷
তাই প্রোটিয়াসদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতেই গলদঘর্ম হতে হয়েছে ভারতের ব্যাটসম্যানদের৷ পিচের মুভমেন্টকে কাজে লাগিয়ে প্রোটিয়াস পেসাররা শুরু থেকেই চাপে রাখেন টেন্ডুলকার-যুবরাজদের৷ বিশেষ করে লোনওয়াবো সোতসোবের দুর্দান্ত বোলিং এর সামনে অনেকটা অসহায় ছিলেন ব্যাটসম্যানরা৷ তবে শেষ পর্যন্ত যুবরাজ ও অধিনায়ক ধোনির কল্যাণে ১৯০ রান জোগাড় করতে সক্ষম হয় ভারত৷ যুবরাজ সর্বোচ্চ ৫৩ এবং ধোনি ৩৮ রান করেন৷ আর সোতসোবে তাঁর ওয়ানডে সেরা পারফরমেন্স দেখিয়ে ২২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট দখল করেন৷
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ স্বচ্ছন্দেই এগুচ্ছিল৷ একপ্রান্তে উইকেটের পতন হতে থাকলেও অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের ব্যাটিং বলে দিচ্ছিল খেলায় প্রাধান্য দক্ষিণ আফ্রিকারই৷ ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর স্মিথ বেশ ভালোভাবে শতরানের দিকে এগুচ্ছিলেন৷ কিন্তু সবকিছুই যেন বদলে গেল ৩৩ তম ওভারে এসে৷ মুনাফ প্যাটেলের করা বলের গতি বুঝতে না পেরে প্লেইড অন হয়ে যান স্মিথ৷ দক্ষিণ আফ্রিকা তখন পাঁচ উইকেটে ১৫২৷ এরপর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে ভারত৷ ১৭৭ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ৪৩ তম ওভারটি করতে আসেন মুনাফ প্যাটেল৷ উইকেটে তখন বোলিং অলরাউন্ডার মর্নে মর্কেল এবং ওয়েইন পার্নেল৷ মাত্র চার রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার, হাতে দুই উইকেট, বাকি তখন আরও আট ওভার৷ কিন্তু এক রান হওয়ার পর মর্কেল একটি শর্ট লেন্থ বল মারতে গিয়ে ধরা পড়েন পয়েন্টে৷ ওভারের শেষ বলে আবারও শর্ট লেন্থ বল দিলেন মুনাফ৷ এবার পারনেল একইভাবে শট নিলেন, এবং প্রায় একই জায়গাতে এবার ক্যাচটি লুফে নিলেন যুবরাজ সিং৷ মাত্র একরান আগেই অল আউট দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ভারতীয় খেলোয়াড়দের উল্লাস তখন দেখে কে! এভাবে ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেশ হতাশ স্বাগতিক প্রোটিয়াসরা৷ এদিকে দুর্দান্ত শেষ ওভারটির কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন ভারতের পেসার মুনাফ প্যাটেল৷ আগামী মঙ্গলবার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক