শোক এবং স্মৃতি
জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা এবং সেই সঙ্গে গতমাসের জার্মান উইংস বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মীয়স্বজনেরা শুক্রবার কোলনের ক্যাথিড্রালে একটি স্মারক প্রার্থনাসভায় মিলিত হন৷ দেখুন তারই কিছু ছবি...
শোকার্ত জার্মানি
নিহতদের প্রায় পাঁচশ’ আত্মীয়স্বজনহ প্রায় দেড় হাজার অতিথি এসেছিলেন কোলন ক্যাথিড্রালের স্মারক অনুষ্ঠানে৷ সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এই স্মারক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে৷
অন্তরের শ্রদ্ধা
ক্যাথিড্রালের অভ্যন্তরে দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক৷ চব্বিশে মার্চ দুর্ঘটনা ঘটার পর দু’জনেই তাঁদের বিমূঢ়তা ব্যক্ত করে বিবৃতি দিয়েছিলেন৷
সান্ত্বনা
কোলন ক্যাথিড্রাল উত্তর ইউরোপের বৃহত্তম গথিক গির্জা৷ এখানে অনুষ্ঠিত স্মারক প্রার্থনাসভার দৃশ্য ক্যাথিড্রালের বাইরে রাখা মনিটরে প্রদর্শিত হয়েছে, এছাড়া সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়েছে সেই অনুষ্ঠানের দৃশ্য৷ ‘‘আপনারা এই একাকিত্বের মুহূর্তে একা নন,’’ সম্মিলিত দর্শকবৃন্দকে বলেছেন কোলনের আর্চবিশপ কার্ডিনাল রাইন্যার-মারিয়া ভোয়েলকি৷
কড়া নিরাপত্তা
পুলিশ সতর্ক, কেননা, জার্মানির প্রেসিডেন্ট এবং চ্যান্সেলর, দুজনই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্গে ফের্নান্দেজ দিয়াজ এবং ফরাসি পরিবহণমন্ত্রী অ্যালাঁ ভিদালিস কোলনে এসেছিলেন স্মারক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে৷ এছাড়া এসেছিলেন লুফৎহানসা তথা জার্মান উইংস-এর প্রধানেরা৷
‘আমাদের বিচার করা উচিৎ নয়’
ক্যাথিড্রালের মূল বেদীর সামনের সিঁড়িতে সাজানো হয়েছিল ১৫০টি মোমবাতি - বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে৷ অবশ্যই কো-পাইলট আন্দ্রেয়াস লুবিৎস্কেও বাদ দেওয়া হয়নি, যদিও লুবিৎস্ স্বেচ্ছায় দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তদন্তকারীদের ধারণা৷ এ’বিষয়ে আর্চবিশপ ভোয়েলকি বলেন, ‘‘আমাদের বিচার করা উচিৎ নয়৷’’
লুফৎহানসার শোকপ্রকাশ
জার্মান উইংস-এর মালিক লুফৎহানসা বিমান পরিবহণ সংস্থা জার্মানির জাতীয় সংবাদপত্রগুলিতে পাতা জুড়ে শোকের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে: ‘‘সেইন-লে-জাল্পে’র কাছে জার্মান উইংস বিমান দুর্ঘটনায় যে সব যাত্রী ও কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমরা শোক প্রকাশ করছি৷ আমরা কোনোদিন তাদের ভুলব না৷’’