1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুরোনো কৌশল

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ জানুয়ারি ২০১৩

শেষ বছরে রাজনৈতিক দল ছাড়াও পেশাজীবী এবং শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে পড়ছে সরকার৷ আর তা সামাল দিতে আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়েও বহু দাবি মেনে নিতে হচ্ছে তাদের৷ ধকল যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর দিয়েও৷

https://p.dw.com/p/17GTj
Overcrowded passenger boats are seen on the Buriganga River in Dhaka October 25, 2012. Millions of residents in Dhaka are travelling home from the capital city to celebrate Eid al-Adha on Saturday. Muslims across the world are preparing to celebrate the annual festival of Eid al-Adha or the Festival of Sacrifice, which marks the end of the haj, by slaughtering goats, sheep and cows in commemoration of Prophet Abraham's readiness to sacrifice his son to show obedience to Allah. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: RELIGION SOCIETY)
ছবি: Reuters

আন্দোলনের মুখে লোকসানি বিমানের কর্মচারীরা আর্থিক দাবি আদায় করার পরের দিন, অর্থাৎ বুধবার থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নৌ-যান ধর্মঘট৷ শ্রমিকদের ডাকা এই ধর্মঘটের মূল দাবি তাঁদের মজুরি এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো৷ স্বাভাবিকভাবেই, এই ধর্মঘটের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷

এদিকে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের শ্রমিকরাও বুধবার থেকে তাঁদের মজুরি এবং ভাতা বাড়াতে ধর্মঘট শুরু করেছেন৷ আর এতে অচল হয়ে পড়েছে বন্দর৷ খালাস হচ্ছে না কোনো পন্যও৷ একই সঙ্গে এমপিওভুক্তি এবং সরকারি বেতনের দাবিতে আন্দোলন চলছে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের৷

A Boeing 777-300ER aircraft which was delivered to Biman Bangladesh Airlines Wednesday is seen at the Shahjalal International Airport in Dhaka. Biman is also buying Boeing 787 planes.
আন্দোলনের মুখে লোকসানি বিমানের কর্মচারীরা আর্থিক দাবি আদায় করেছেছবি: picture alliance/Asian News Network

অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপি'র হরতালের পর, ১৬ই জানুয়ারি সারা দেশে আধা বেলার হরতাল ডেকেছে সিপিবি ও বাসদ৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, শ্রমিক ও পেশাজীবীরা কৌশলগত কারণেই তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য সরকারের শেষ বছরটিকে বেছে নিচ্ছেন৷ তাঁদের দাবি ন্যায্য হলে সরকারের আগেই তা মেনে নেয়া উচিত ছিল৷

বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের বিরোধী রাজনীতির বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে সরকাররের শেষ বছরে রাজনীতির মাঠ গরম রাখা৷ যদি সরকারের মধ্যে একটি পতন পতন ভাব আনা যায়, তাহলে বিরোধীরা ভোটে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন বলে মনে করেন ড. মজুমদার৷

তাঁর মতে, সরকারকে যেমন যৌক্তিক দাবি আন্দোলনের আগেই মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে৷ তেমনই বিরোধীদেরও সরকারকে অহেতুক ঝামেলায় ফেলার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে৷ আর ভোটের কথা চিন্তা না করে পোশাজীবী ও শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে সব সময়ই থাকতে হবে আন্তরিক৷ তাহলে শেষ বছরে এ ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে না৷ বাড়বে না সাধারণ মানুষের ভোগান্তি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য