1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুরু হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মেলা ‘সেবিট’

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলা বলতেই চোখের সামনে যে চিত্র সামনে ফুটে উঠে, সেটিই জার্মানির হানোফার শহরের সেবিট মেলা৷ আজ উদ্বোধন৷ কাল থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত৷ মেলার বিশেষ আকর্ষণ ক্লাউড কম্পিউটার৷

https://p.dw.com/p/10Qix
সেবিট এর হর্তাকর্তারাছবি: Messe AG Hannover

বিশ্বের চার হাজার ২০০টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এখন দারুণ ব্যস্ত৷ নানা রকম ইলেক্ট্রনিক পণ্য দিয়ে তাঁরা সাজিয়েছেন তাঁদের স্টলগুলি৷ বিশ্বের ৭০টি দেশ থেকে এসেছেন তাঁরা৷ এসেছেন নিজেদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন পণ্য দেখাতে আর অন্যের উৎপাদিত পন্য দেখতে৷

এবারের এই মেলায় এসেছে গুগল, মাইক্রোসফট, আইবিএম, এসএপি, এইচপি, ডেলসহ বিশ্বের নামিদামি কোম্পানি৷ আয়োজকরা আশা করছেন পাঁচ দিনের এই মেলায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ তাঁদের পা রাখবেন৷

এবারের সেবিট মেলায় সব চেয়ে বড় আকর্ষণের বিষয় হয়তো হবে ‘ক্লাউড কম্পিউটার'৷ বহু পুরানো চিন্তার নতুন উদ্ভাবনা - এই বিষয়টি৷ প্রশ্ন আসতে পারে, ক্লাউড কম্পিউটার আবার কী ? উত্তর হচ্ছে, এর মাধ্যমে প্রতিটি কম্পিউটারে পৃথক সফটওয়ার ‘স্যুইট' ইনস্টল না করে মাত্র একটা অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করলেই হবে৷ এর সুবাদেই কর্মীরা একটি ওয়েবভিত্তিক সেবায় লগ-ইন করে তাঁদের প্রয়োজনীয় সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন৷ এটাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল কথা৷

Flash-Galerie Deutschland Computermesse CeBIT 2011 in Hannover
এবার সেবিটের সহযোগী দেশ তুরস্কছবি: picture alliance/dpa

ক্লাউড কম্পিউটিং'এর ফলে স্থানীয় কম্পিউটারে কাজের চাপ কমে যাবে অনেকটাই৷ কারণ, স্থানীয় কম্পিউটারগুলোকে আর বড় বড় অ্যাপ্লিকেশন চালানোর ঝামেলা বা চাপ সহ্য করতে হবে না৷ এক কথায় ইন্টারনেটনির্ভর কম্পিউটিং হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং৷ জার্মানি আশা করছে আগামী ২০১৫ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে সারা দেশে৷

বিশ্ব আর্থিক মন্দার মেলা তেমন জমেনি গত বছর৷ কিন্তু এবার, সেবিট ২০১১- এ আশা করা হচ্ছে ভালো ফলাফলের৷ এবারের মেলায় কম্পিউটার, বিশেষ করে নেটওয়ার্কের নিরাপত্তায় নতুন উদ্ভাবন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নয়া প্রযুক্তি বেশ সাড়া ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তবে যাঁরা কম্পিউটার গেমস ভালোবাসেন, তাঁদের কিন্তু নিরাশ হবার কিছু নেই৷ তাঁদেরকে নিয়ে বিশ্ব প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে মেলা চলাকালেই৷ আর এই প্রতিযোগিতায় যিনি বিজয়ী হবেন, তিনি পাবেন ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার পুরস্কার৷

আজ দিনের শেষভাগে জার্মান চান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান আনুষ্ঠানিক ভাবে এই মেলার উদ্বোধন করবেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ