শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
বড়দের হাতে সারাক্ষণ মোবাইল ফোন দেখে শিশুদের মধ্যেও দিনদিন এসব ব্যবহারের আগ্রহ বাড়ছে৷ শৈশবেই প্রযুক্তির ব্যবহার কতটা ক্ষতিকর সেকথা বেরিয়ে এসেছে নতুন এক সমীক্ষায়৷
মোবাইল ফোন থেকে শিশুদের দূরে রাখুন, কারণ...
খুব বেশি কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারের ফলে শিশুদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়৷ ‘আপনার শিশুকে আচরণগত সমস্যার ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে চাইলে ওর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না! এভাবেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায়৷ গবেষণাটি করেছে জার্মানির লাইপজিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল৷
স্মার্টফোন বা মোবাইল কিন্তু বেবিসিটারের বিকল্প নয়!
অনেক মা-বাবা শিশুকে ব্যস্ত বা শান্ত রাখতে হাতে মোবাইল দিয়ে রাখেন৷ নিজেদের সুবিধা বা আরামের ফল পরবর্তীতে ভয়ঙ্কর হতে পারে৷ বিশেষ করে একেবারে ছোট বয়সে মোবাইল হাতে দিলে শঙ্কাটা বেশি৷
নিজেরাই পরীক্ষা করুন
যে শিশু নিয়মিত মোবাইল ব্যবহার করে, তাকে কয়েকদিন মোবাইল থেকে দূরে রাখুন৷ তার আচরণের পরিবর্তনটুকু নিজেরাই বুঝতে পারবেন৷ তবে প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হবে, যা একেবারেই স্বাভাবিক৷
বয়স যখন সাত
তবে ৭ বছর বয়সের শিশুদের দিনে আধ ঘণ্টা মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি বা ট্যাবলেট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ইলেকট্রনিক মিডিয়া শিশুদের জন্য অতি দ্রুত
গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় যে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছোট শিশুদের জন্য এতটাই দ্রত যে, ছবি ও তথ্যের প্রক্রিয়া ধরতে ও বুঝতে গিয়ে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি বিরক্ত হয়ে নার্ভাস হয়ে যায় বা ঘাবড়ে যায়৷ এর রেশ থেকে যায় পরেও৷
বই পড়ার উপকার
একটি শিশু যখন একটি বই পড়ে বা ছবির বই দেখে, তখন কিন্তু সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কখন সে বইয়ের পাতা উল্টাবে৷ অর্থাৎ, শিশুটি তখন তার নিজের গতিতে চলতে পারে৷ ফলে তাকে তাড়াহুড়ো করতে হয় না৷
স্মার্টফোনের বদলে বাইরে খেলতে দিন
শিশুরা মুক্ত বাতাসে খেলাধুলা করে যে প্রচুর আনন্দ পায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য মুক্ত হাওয়া যেমন প্রযোজন, তেমনি প্রয়োজন মুক্ত পরিবেশ৷ তবেই সে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারে৷