1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ছেন বিখ্যাত আপা শেরপা

২৬ মে ২০১৯

একুশবার এভারেস্টে ওঠা নেপালের আপা শেরপা এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে৷ তবে প্রতিবছর নেপালে গিয়ে শেরপা শিশুদের কল্যাণে কাজ করেন৷ আপা শেরপা চান, আজকের শিশুদের যেন ভবিষ্যতে তাঁর মতো বিপজ্জনক পথ বেছে নিতে না হয়৷

https://p.dw.com/p/3J2OH
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Shrestha

আপা শেরপার বয়স এখন ৫৯৷ যখন ছোট ছিলেন, তখন বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন৷ কিন্তু দারিদ্র্য আর সুযোগ-সুবিধার অভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি তিনি৷ কারণ, সেই সময় তাঁর গ্রামের স্কুলে শুধুমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান হতো৷ এরপর পাশের গ্রামের স্কুলে গিয়ে আরো দু'বছর লেখাপড়া করেছেন তিনি৷ তবে এজন্য তাঁকে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা পাহাড়ি পথে হাঁটতে হয়েছে৷ এরপর বাবা মারা যাওয়ায় পরিবার চালাতে ১২ বছর বয়সেই মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে চাওয়া বিদেশিদের সেবায় কাজ শুরু করতে হয়েছিল আপা শেরপাকে৷

সেই থেকে শুরু৷ এরপর ৩০ বছর বয়সে প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি৷ ক্রমেই এভারেস্টে ওঠার দক্ষ গাইড হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন আপা শেরপা, যাঁকে পরবর্তীতে ‘সুপার শেরপা' নামে ডাকা হতো৷

এভাবে ২১ বার চূড়ায় উঠে ২০১১ সালে অবসরে যান আপা শেরপা - যা সেই সময় একটি রেকর্ড ছিল৷ অবশ্য তিনি ছাড়া ফুর্বা তাসি নামে আরেক শেরপাও ঐ রেকর্ডের মালিক ছিলেন৷ এভারেস্টে ওঠার এখনকার রেকর্ডের মালিক শেরপা কামি রিতা৷ সম্প্রতি তিনি এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই বার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন৷ সব মিলিয়ে তিনি ২৪ বার সেখানে গেছেন৷

এভারেস্টে শেরপা বিধবাদের অন্যরকম পরিকল্পনা

শিশুদের কল্যাণ

হতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক৷ কিন্তু সুযোগের অভাবে পারেননি৷ তাই এভারেস্টের গাইডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বেছে নিতে হয়েছিল আপা শেরপাকে৷

এ অবস্থার পরিবর্তন চান তিনি৷ তাই আজকের শেরপা শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা করছেন তিনি৷ এজন্য ২০১২ সালে নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন৷ এর মাধ্যমে শেরপা শিশুদের স্কুলের উন্নয়নে সহায়তা করা হয়৷

যেমন, আপা শেরপার নিজের গ্রামের স্কুলে আটজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও সরকার মাত্র তিনজনের বেতন দিতে সমর্থ বলে জানিয়েছে৷ এক্ষেত্রে বাকি পাঁচ শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছে ‘আপা শেরপা ফাউন্ডেশন'৷

এছাড়া শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা, কম্পিউটার, বই, কলম ও গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা - এসব কাজও করে থাকে আপা শেরপা ফাউন্ডেশন৷

আপা শেরপা বলেন, ‘‘শেরপাদের অন্য কাজ করার সামর্থ্য না থাকায় তাঁরা পরিবার চালাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে৷ তাই আমার লক্ষ্য হচ্ছে, শিশুদের যেন ভবিষ্যতে আমাদের মতো পেশায় আসতে না হয়, সেই চেষ্টা করা৷''

নিজের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন আপা শেরপা৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য