শিক্ষার্থীদের আপন ভুবন
দশটি দেশ ঘুরেছেন হেনরি বুগার্ট৷ উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থী কাছ থেকে দেখা এবং অন্যদের দেখানো৷ দেখানোর জন্য একটা ওয়েবসাইটও তৈরি, ঠিকানা www.imagesconnect.org৷ এর মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীই একে অন্যকে জানার সুযোগ পাচ্ছেন৷
সেতুবন্ধন
এ ছবিতে দেখা যাচ্ছে পঙ্কজ যাদবকে৷ ভারতের এই তরুণ থাকেন মুম্বইয়ে৷ ঘরোয়া জীবন খুব জৌলুসহীন, ছিমছাম৷ পঙ্কজের লক্ষ্য, একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে জীবনকে একটু বদলে দেয়া৷
থাকা চাই দক্ষতা
ভারতের আরেক তরুণ সিদ্ধার্থ যোশির কথা শুনে বুগার্ট একটু অবাক হয়েছেন৷ সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, লেখাপড়া শেষ করে দেশেই থাকবেন, কেননা, এগোতে থাকা অর্থনীতিকে আরো গতি দিতে হলে বিশেষজ্ঞদের দেশেই থাকতে হবে৷ বুগার্ট দেখেছেন বাকি নয়টি দেশের প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীই অন্য দেশে চলে যেতে চান৷ সিদ্ধার্থের সিদ্ধান্তটা তাই আশ্চর্যজনকই মনে হয়েছে বুগার্টের৷
কাছে আসা, কাছে থাকা
নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরে এলেও হেনরি বুগার্ট কিন্তু নানা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন৷ তাই কিউবার আমাদো সুয়েইরাস এখনো স্মৃতি হয়ে যাননি৷ প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার প্রায় চিরন্তন রেষারেষি৷ আর আমাদোর লক্ষ্য কিনা সেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করা! গেলে খুব মন্দ হবে না৷ একজন উঠতি টেনিস টেনিস প্রশিক্ষক হিসেবে আমাদো জানেন, যুক্তরাষ্ট্রে টেনিস কোচদের চাহিদা আছে৷
নতুনে পুরাতনি
দশটি দেশের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর ছবি তুলেছেন বুগার্ট৷ মলদোভার চিসিনাউ শহরে গিয়ে দিনু বাটশু-র সঙ্গে দেখা৷ খুব মজার মানুষ দিনু৷ এ প্রজন্মের ছেলে৷ তাই নতুন কিছু ভালোই লাগে৷ তবে পুরোনো ঐতিহ্যকেও ঘরের কোণে আগলে রাখেন৷ হাল ফ্যাশনের সব কিছুই তাঁর পছন্দ, কিন্তু হাতে বোনা অনেক কিছুই সযত্নে রেখেছেন ঘরে৷
যা ছাড়া চলে না
পৃথিবীর প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রী একটা জায়গায় এক৷ সবার ঘরে একটি বিছানা আর একটা পড়ার টেবিল থাকবেই৷ রাশিয়ার রসুল, মারাত আর ওলেগের ঘরেও ওই দুটি আসবাব আছে৷
কিছু ডিগ্রি
ভিক্টর নরোগের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়াটা বেশ ব্যতিক্রমী ব্যাপার৷ তাঁর দেশ কেনিয়ায় শিক্ষার হার এমনিতেই কম৷ ভিক্টর যেখানে থাকেন সেখানে তো শতকরা ৯৩ ভাগ শিক্ষার্থীরই লেখাপড়া মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই বন্ধ হয়ে যায়৷ ফটোগ্রাফার বুগার্ট শুধু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরই ছবি তুলেছেন এবং সেই সুবাদে কোন দেশে শিক্ষার হার কেমন সেটাও জানা হয়ে গেছে তাঁর৷
গাদাগাদিতেও সুখে গদগদ
ফিলিপিন্সের আবিগাইল মাংহাসের ঘরটি দেখে জনবহুল দেশ বাংলাদেশ বা ভারতের কথা মনে পড়া অস্বাভাবিক নয়৷ ম্যানিলার এই ঘরটিতে ছয় সহপাঠীর সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকতে হয় আবিগাইলকে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো আবাসনের ব্যবস্থা নেই, থাকলেও নানা কারণে সেখানে থাকা যায় না বলে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই তো অনেক শিক্ষার্থীকে এভাবেই থাকতে হয়, তাইনা?
এবার জার্মানি
এই ছবিটির মতো বুগার্টের তোলা বেশির ভাগ ছবিই নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসের৷ বাকিগুলো ঘুরে আসা দশটি দেশের৷ তবে কাজের পরিসর বাড়বে শিগগিরই৷ ডাচ ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি জার্মানিতেও আসবেন, শিক্ষার্থীদের দেখবেন এবং অবশ্যই তাঁদের ছবিও তুলবেন৷