1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শালকের জোরদার হার, ম্যান ইউ-র টানটান জিত

২৭ এপ্রিল ২০১১

চ্যাম্পিয়নস লিগে জমজমাট পুনরুত্থান ম্যান ইউ-র৷ রুনির অসাধারণ গোল, গেলজেনকির্শেনে ঘরের মাঠে শালকের ভেলকি একেবারে স্তব্ধ এবং পরাজয়৷ সব মিলিয়ে দারুণ ফুটবল৷

https://p.dw.com/p/114SK
দু’গোলে ম্যাচ জেতানোর কারিগর রুনিকে ঘিরে ম্যান ইউ-র উচ্ছাসছবি: dapd

সবাই তো আর মিলান নয়

আসলে ইন্টার মিলানকে শালকে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়ে এ্যাগ্রেগেটে ৭-৩ গোলে হারিয়ে দেওয়ার পর থেকে বুন্দেসলিগায় দশ নম্বর দল হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে তারা বেশ অনেকটাই ওপরে উঠে গিয়েছিল৷ ফলে প্রত্যাশা একটা ছিলই৷ কিন্তু মঙ্গলবার বোঝা গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আসলে কারা৷ খেলার শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, শক্ত পাল্লায় পড়েছে শালকে আজ৷ প্রথমার্দ্ধেই বেশ কয়েকখানা সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিল ম্যান ইউ৷ শালকের তারকা, জার্মান জাতীয় দলের গোলকিপার মানুয়েল নয়নার তেকাঠির নীচে দুর্গের মত দাঁড়িয়ে না থাকলে আরও অন্তত চারটে গোল শালকের গোলে ঢুকে যেত স্বচ্ছন্দে৷

গোল করালেন, গোল করলেন রুনি

রুনি নিজে গোলটা করেন নি৷ তবে করিয়েছেন বললে ভুল বলা হবে না৷ শালকের পেনাল্টি এলাকায় হার্নান্ডেজের পায়ের সামনে গোলটা বলা যায় সাজিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েন রুনিই৷ সেখান থেকে হার্নান্ডেজ আর কোন ভুল করেন নি৷ তবে দ্বিতীয়ার্দ্ধে যে গোলটা রুনি দিয়েছেন, সেটাতে তাঁর জাত চেনা যায়৷ শালকে এই ম্যাচে কিছুটা রুনি আতঙ্কেও ভুগেছে, সেটা গোটা খেলা জুড়েই৷

ফার্স্ট লেগেই শালকে ‘আউট'

ফার্স্ট লেগটা ঘরের মাঠে হেরে গেল শালকে৷ এবং বেশ দুর্বল পরাজয়৷ এরপরে ম্যান ইউ-র ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠে যে কী হবে মে মাসের গোড়ায়, তা তো বেশ বোঝা যাচ্ছে৷ অ্যাওয়ে ম্যাচে ম্যান ইউকে ৩-০ হারাতে হবে শালকেকে৷ সেটা অসম্ভবের চেয়েও বেশি কিছু৷ তাই ধরেই নেওয়া যায়, শালকের এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে বেশ প্রত্যাশা জাগানো যাত্রা মোটের ওপর এখানেই শেষ৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী