1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শহরের ভিন্ন স্বাদ দিচ্ছে দোকান, হোটেল

২৩ জুলাই ২০২০

বিশ্বের অনেক শহরে সাধারণ হোটেলে সকালে ঘুম ভাঙলে বোঝার উপায় থাকে না, আসলে কোথায় রয়েছি৷ ভিয়েনা শহরে এক প্রকল্পের আওতায় পর্যটকরা প্রায় স্থানীয় মানুষের মতো শহরের অনবদ্য চরিত্র উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3fiuw
Wien Kaffeehauskultur
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Bruna

অতীতে তালার মিস্ত্রীর কারখানা ছিল৷ এখন সেটি হোটেলে পরিণত হয়েছে৷ অতিথি হিসেবে ডানিয়েল পোনক্রাৎস ও হেলগা রোশিক ‘ক্রেৎসেল' হোটেলের ঘরের পর্দা সরিয়ে ভিয়েনা শহরের একটি গলির দৃশ্য দেখতে পান৷ হাঙ্গেরির এই দুই পর্যটক আপাতত ‘ক্রেৎসেল’ হোটেলের বাসিন্দা৷

২০১২ সালে টেরেসিয়া কোলমায়ার এই প্রকল্প শুরু করেছিলেন৷ স্থপতি হিসেবে তিনি ২৬টি খালি দোকান হোটেলে রূপান্তরিত করেছিলেন৷ আগে যেখানে মুচি বা দরজির দোকান ছিল, এখন সেখানে রাত কাটানোর জায়গা তৈরি হয়েছে৷ টেরেসিয়া বলেন, ‘‘এর ফলে প্রত্যেক অতিথি শহরে নিজস্ব ঘর পাচ্ছেন, যেখানে তিনি স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করতে পারেন৷ বাইরে বের হলেই নিজস্ব অ্যাডভেঞ্চার শুরু হতে পারে৷ গতানুগতিক হোটেলের ভবনে যে অবকাঠামো দেখা যায়, আমরা সেগুলিকে একই স্তরে পাড়ার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছি৷’’

নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে অতিথিরা এই প্রকল্পের আওতায় এমন ‘পাড়ার হোটেল’ খুঁজে পেতে পারেন৷ পাড়ার মধ্যে ‘গলটেক' ক্যাফেতে প্রাতরাশ সেরে নেওয়া যায়৷ হোটেলের লবিতে সুভিনিয়ারের দোকানের বদলে অতিথিরা পাড়ার মধ্যেই টুকিটাকি কেনাকাটা করে নিতে পারেন৷ যেমন এক ডিজাইনারের গয়নার দোকান৷ অথবা শহরের আকর্ষণীয় পদ চেখে দেখার জন্য রোব্যার্ট অপোচেনস্কির দোকানে ঢুঁ মারতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সব সময়ে এখানেই আছি৷ অতিথিরা আসে-যায়৷ আরও খালি দোকানের বদলে এমন আদানপ্রদান অনেক ভালো৷’’

চাবি মেরামতির দোকানে হোটেল

টেরেসিয়া কোলমায়ার অবহেলিত জায়গায় আবার প্রাণ সঞ্চার করতে খুব ভালোবাসেন৷ হোটেলের রিসেপশনের বদলে নির্দিষ্ট কোড টিপে ঘরের দোরগড়ায় বাক্স খুলে চাবি নিতে হয়৷ টেরেসিয়া বলেন, ‘‘নতুন করে ঘর সাজানোর সময় আমরা প্রতিটি দোকানের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বজায় রাখি৷ যেমন দরজির দোকান৷ আমরা বড় আকারের এক ছবি তৈরি করিয়েছি৷ এই তরুণী সেই কাপড়ই পরে আছেন, যেটি ওয়ালপেপার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছে৷ এভাবে অতিথিদের জানাতে চাই, আপনারা ভিয়েনায় এসেছেন, এক প্রাক্তন দোকানে রাত কাটাচ্ছেন, এটা কোনো গতানুগতিক হোটেলের ঘর নয়৷’’

অ্যাপের কল্যাণে পর্যটকরা পাড়া সম্পর্কে অনেক খবর পেয়ে যান৷ যেমন সাধারণ দেখতে এক প্রাচীরের পেছনেই ‘মটো' নামের ভিয়েনার বিখ্যাত এক রেস্তোরাঁ রয়েছে৷

সারাদিন অনেক অভিজ্ঞতার পর চাবি মেরামতির সাবেক দোকান আবার শোবার ঘর হয়ে উঠলো৷ ডানিয়েল বলেন, অনেকবার ভিয়েনা আসা এবং অনেক কিছু দেখা সত্ত্বেও এখানে একেবারে নতুন এক অভিজ্ঞতা হলো৷ তিনি ভিয়েনা সম্পর্কে একেবারে নতুন ধারণা পেলেন৷

দোকানের জানালায় ঘুমানোর অভিনব অভিজ্ঞতা এবং জানালার ওপারে ভিয়েনা শহরের অনবদ্য চরিত্র অনুভব করার সুযোগ দিচ্ছে এই প্রকল্প৷

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান