1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শহরের প্রাণকেন্দ্রে সার্ফিং

২৮ আগস্ট ২০১০

শহরের মাঝখানে কি সার্ফিং করা সম্ভব? সমুদ্রে সার্ফিং বোর্ডের ওপর মানুষ দাঁড়িয়ে, ঢেউয়ের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে, ভেঙ্গে পড়ছে – এগুলোতো আমাদের দেখা৷ এবার কিন্তু এই চিত্র দেখা যাচ্ছে একেবারে শহরের কেন্দ্রস্থলে৷

https://p.dw.com/p/OyLH
মিউনিখের ইংলিশ গার্ডেনে সার্ফিংছবি: AP

মিউনিখের ইংলিশ গার্ডেনে তৈরি করা হয়েছে এরকমই একটি সার্ফিং-এর উত্তাল ঢেউ৷ সার্ফাররা ভিড় করছে সেখানে৷ মিউনিখ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে সরু একটি নদী, নাম আইসবাখ৷ সেই আইসবাখেই কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা হয়েছে ঢেউ৷ এ বছরের জুন মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ফিং-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে আইসবাখে৷ ঝাঁপিয়ে পড়েছে সার্ফাররা৷ আইসবাখে প্রায় প্রতি সেকেন্ডে উত্তাল ঢেউ তুলতে আছড়ে পড়ছে ২০ টন পানি৷ পানির গভীরে একটি সিঁড়ি এবং বেশ বড় একটি পাথর দেওয়ায় ঢেউ উঠছে৷ সমুদ্রের সঙ্গে এই ঢেউয়ের পার্থক্য হল – এই ঢেউগুলো ভেঙে যায় না, স্থির থাকে৷ ইংলিশ গার্ডেনে সবুজের কাছে, প্রকৃতির মাঝে এই সার্ফিং-এর জায়গা৷ আশে পাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ৷ সবাই দেখছে অবিশ্বাস্য চোখে৷

Englischer Garten in München - Boote
মিউনিখ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে সরু একটি নদী, নাম আইসবাখছবি: AP

আইসবাখের পানি কিন্তু বরফ শীতল, তবে তাতে দমে যায়নি সার্ফাররা৷ যেমন দমে যায়নি ৪২ বছর বয়সী কার্স্টেন কুরমিস৷ লম্বা চুল, নীল চোখ৷ যখন তিনি সার্ফিং বোর্ড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন আইসবাখে – তখন দেখে মনে হবে সার্ফিং বইয়ের কোন সার্ফার৷ কুরমিস জানান, ‘‘সার্ফিং-এর একদিকে রয়েছে খেলাধুলার বিষয়টি৷ অন্যদিকে রয়েছে প্রতিদিন কাজকর্মের ঝক্কি থেকে মুক্তি পাওয়া৷ কয়েক ঘন্টার জন্য মুক্তি পাওয়া যায়, হারিয়ে যাওয়া যায় প্রকৃতি, সবুজ আর উত্তাল ঢেউয়ের মাঝখানে৷ অথচ প্রায় ১০ মিটার দূরেই ব্যস্ত রাস্তা, দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে গাড়ি৷ আর মাত্র দশ মিটার দূরেই উত্তাল ঢেউ, সবুজ বাগান, পানির পাগল করা শব্দ৷ অবশ্যই সার্ফিং-এর মজাই আলাদা৷ যে কেউই প্রতিদিন এখানে সার্ফিং-এর জন্য আসতে পারে৷ এখানে আসলে নিজের ভেতরে অন্যরকম এক অনুভূতি হয়৷''

গত ২৪ বছর ধরে কার্স্টেন নিয়মিত সার্ফিং করছেন৷ দিনে, এমনকি মাঝে মাঝে রাতেও তিনি সার্ফিং-এর জন্য বেরিয়ে পড়েন৷ গ্রীষ্মকালে পানির তাপমাত্রা থাকে ১৫ ডিগ্রি এবং শীতকালে ৪ ডিগ্রি৷ তবে পানির এই তাপমাত্রা আটকে রাখতে পারেনি সার্ফারদের৷ তারা আনন্দের সঙ্গে ডুবে যাচ্ছে বরফ শীতল পানিতে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন