1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে সংলাপ!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২ মে ২০১৩

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো জায়গায় বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ তবে বিরোধী দল বিএনপি বলেছে, সংলাপের বিষয় সুনির্দিষ্ট করতে হবে৷ আর সুশীল সামাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, এখনই সংলাপ শুরু জরুরি৷

https://p.dw.com/p/18QUv
FILE - In this Tuesday, Sept. 20, 2011 file photo, Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina looks on during the Clinton Global Initiative 2011 Annual Meeting Opening Plenary Session Leaders Dialogue on Climate Change, held at the Sheraton New York Hotel and Towers in New York City. The Bangladesh military has foiled a plot by a group of hardline officers, their retired colleagues and Bangladeshi conspirators living abroad to overthrow the prime minister, a military spokesman announced Thursday Jan. 18, 2012. (Foto:Jennifer Graylock, File/AP/dapd)
ছবি: dapd

নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ বিরোধী দল৷ এ নিয়ে দেশে কয়েকমাস ধরে চলছে হরতাল, সংঘাত আর সংঘর্ষ৷ তবে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বিএনপি বৃহস্পতিবারের হরতাল স্থগিত করায়, কিছুটা আশার আলো দেখা দেয়৷ বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের এক বেঠকে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান৷ শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো জায়গায় তারা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন৷ তবে সংসদ সবচেয়ে নিরপেক্ষ জায়গা, তাই সেখানে আলোচনা হলেই ভালো৷

এর জবাবে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু জানিয়েছেন, বিরোধী দল আলোচনায় রাজি৷ তবে আলোচনার বিষয় সুনির্দিষ্ট করতে হবে৷ এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক শব্দে সরকারের আপত্তি থাকলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷ কিন্তু প্রস্তাব হতে হবে লিখিত এবং সুনির্দিষ্ট৷

parliament building in dhaka, bangladesh, Foto: Harun Ur Rashid Swapan/DW, eingepflegt: Januar 2011, Zulieferer: Mohammad Zahidul Haque
সংসদ ভবন, ঢাকাছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব৷ বিএনপির শর্ত প্রসঙ্গে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, বিএনপির উচিত হবে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেয়া৷ তাঁর মতে, আলোচনা শুরু করা জরুরি৷ আলোচনায় বসলে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রসঙ্গ আসবে৷ তাতে কি আলোচনা হয়, সরকার ও বিরোধী দল নিজ নিজ অবস্থানে কি যুক্তি দেয় তা জানা যাবে৷ দেশবাসীও জানতে পারবে৷ এতে ফল ভালোই হবে৷ সরকার যদি অযৌক্তিক কথা বলে, তাহলে তা দেশের জনগণ নিশ্চয়ই গ্রহণ করবে না৷

হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সরকার ও বিরোধী দল উভয়কে অনঢ় আবস্থান থেকে সরে আসতে হবে৷ অবশ্য তার কিছুটা হলেও লক্ষণ ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে৷ সংঘাত- সংঘর্ষের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয় না, বরং আরো জটিল হয়৷ আলোচনার মাধ্যমেই শেষ পর্যন্ত সমাধান আসে৷ তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই৷ এই নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে হবে৷ সেটা না হলে দেশের মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে৷ আর আলোচনার মাধ্যমে সেই পথই বের করতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য