1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিখে নিন মেয়ে পটানোর উপায়

৩ ডিসেম্বর ২০১৬

জার্মানিতে শরণার্থীদের মেয়ে পটানোর উপায় শেখাচ্ছেন ‘মি. ফ্লার্ট'৷ বিশেষ করে সিরীয় এবং ইরাকি শরণার্থীদের তিনি শেখাচ্ছেন কিভাবে যৌন সম্পর্ক গড়ার উদ্দেশ্যে মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করতে হয়৷

https://p.dw.com/p/2TYqR
Deutschland Flirtkurs für Flüchtlinge in Essen
ছবি: DW/C. Wolf

‘‘তোমার সুগন্ধির ঘ্রানটা আমার পছন্দ হয়েছে'' কিংবা ‘‘তোমার গলাতো বেশ মিষ্টি'' – মেয়েদের আকৃষ্ট করার এরকম কিছু লাইন শিক্ষার্থীদের বোঝাচ্ছিলেন ‘মি. ফ্লার্ট'৷ মেয়ে পটানোর উপর শিখিয়ে তিনি বেশ ভালোই আয় করেন৷ তবে শরণার্থীদের তিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বিনা খরচায়৷

মেয়েদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বাক্য যা ‘পিকআপ লাইন' হিসেবে পরিচিত, সেগুলোর কয়েকটি শিক্ষার্থীদের কাছেও জানতে চান তিনি৷ বিশ বছর বয়সি ইসাম কাদিম আল বেন ঝটপট বলে ফেলেন, ‘‘ঈশ্বর তোমাকের শুধু আমার জন্য গড়েছেন৷'' আরো একটি বাক্য দ্রুতই গড়েন তিনি, ‘‘আমি তোমাকে ভালোবাসি৷ আজ রাতে কি তোমার ওখানে ঘুমাতে পারি?''

গ্রন্থাগারে প্রেম
গ্রন্থাগার প্রেম করার একটি মক্ষোম জায়গা?ছবি: WavebreakmediaMicro/Fotolia

পরের বাক্যটি অবশ্য হর্স্ট ভেনৎসেলের বিশেষ পছন্দ হয়নি৷ তিনি বলেন, ‘‘সম্পর্ক তিনমাস পার না হওয়া পর্যন্ত তাদের বলতে যেও না যে তুমি তাদের ভালোবাসো৷ তাহলে তারা কেটে পড়বে৷ জার্মান মেয়েরা আসক্তি পছন্দ করে না৷''

২৭ বছর বয়সি ভেনৎসেল সাধারণত জার্মানির বিত্তবানদের মেয়ে পটানোর উপায় শেখান৷ এজন্য একদিন কাউকে প্রশিক্ষণ দিলে তিনি নেন ১,৪০০ ইউরো৷ আর গ্রুপের জন্য দৈনিক চার হাজার ইউরো৷ চলতি বছর তিনি সিদ্ধান্ত নেন শরণার্থীদের বিনা খরচায় সহায়তা করবেন৷ কেননা দশ লাখের বেশি শরণার্থীদের সামলাতে বেশি হিমশিম খাচ্ছে তাঁর দেশ৷ তাঁর প্রশিক্ষণ শরণার্থীদের জার্মান মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশার বিষয়টি সহজ করতে পারে বলেই বিশ্বাস তাঁর৷

জার্মানিতে ‘মি. ফ্লার্ট' নামে পরিচিতি ভেনৎসেলের ক্লাসে সিরিয়া, ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে আসা পুরুষরা আসেন৷ ডর্টমুন্ড শহরের কাছে গতসপ্তাহে তাঁর এক ক্লাসে ছিলেন এগারো জন৷ তাদের অনেকেই জার্মান মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী৷ কিছু জার্মান নারীরও এক্ষেত্রে আপত্তি নেই৷ তাঁরা মনে করেন, জার্মান পুরুষরা অনেক বেশি মদ্যপান করেন, সারাক্ষণ ফুটবল নিয়ে থাকেন আর বেশি মাত্রায় সাদা৷ সে তুলনায় মধ্যপ্রাচ্যের পুরুষরা বেশ সুদর্শন৷

তবে শরণার্থীদের নিয়ে জার্মানিতে যে খুব ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে এমন নয়৷ গতবছর বিপুল সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণ করায় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে যেতে শুরু করেছে৷ বিশেষ করে বর্ষবরণের রাতে কোলনে বেশ কিছু মেয়ে শরণার্থীদের দ্বারা যৌন নিগ্রহের শিকার হন৷ ফলে শরণার্থীদের সম্পর্কে অনেকের মাঝে সৃষ্টি হয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া৷

হর্স্ট ভেনৎসেল চান চাহিদা যাই থাক, নারী পুরুষের মধ্যকার মেলামেশাটা সহজ হোক৷ যৌনতার বিষয়াদি নিয়ে খোলামেলা আলাপে আপত্তি নেই জার্মানদের৷ তবে সেগুলো একটা শোভনীয় পর্যায়ে হওয়াটাই তাঁর কামনা৷ তাই ‘পিকআপ লাইন' বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ ডর্টমুন্ডে শিক্ষার্থীদের তিনি বোঝান, জার্মানিতে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যে কোনো সময়ই যৌন সম্পর্ক হতে পারে৷ প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় সাক্ষাতে সেক্স খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার৷

ক্লাসে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে পছন্দ করেন ভেনৎসেল৷ তিনি একজনের কাছে মেয়ে পটানোর উপায় জানতে চাইলে, সেই শিক্ষার্থী জিমে গিয়ে সুঠাম দেহ গড়ার দিকে গুরুত্ব দেননি৷ কিন্তু ভেনৎসেল তাঁকে শুধরে দেন৷ মেয়েরা নাকি ‘বডি বিল্ডারদের' দিকে বিশেষ আকৃষ্ট নয়৷ আরেক শিক্ষার্থীর মতে, ফেরারি থাকলে মেয়েরা আকৃষ্ট হবে৷ কিন্তু ‘মি. ফ্লার্ট' তাঁকে বোঝান, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র অর্থের প্রতি আকৃষ্ট মেয়েরাই আগ্রহী হবে৷ আর সবার পক্ষে দাবি গাড়ি কেনা সম্ভব নয়৷

ভেনৎসেলের এ সব প্রশিক্ষণ শরণার্থীদের কতটা কাজে আসবে তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও জার্মানিতে এসবের কদর যে বেশ তা বোঝা যায় তাঁর ব্লগের দিকে তাকালে৷ ‘‘ফ্লার্ট ইউনিভার্সিটি'' শিরোনামে থাকা ‘মি. ফ্লার্টের' ব্লগের অনুসারী পাঁচ লাখের বেশি৷

এআই/ডিজি (এএফপি)

আপনার কি কোনো ‘পিকআপ লাইন' জানা আছে? প্রেম নিবেদনের সময় আপনি কী বলে থাকেন? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান