শব্দদূষণের নানান উৎস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেল শব্দে সাময়িকভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট আর ১০০ ডেসিবেলে চিরতরে তা হারাতে হতে পারে৷ অথচ রাজধানী ঢাকার অনেক জায়গাতেই শব্দ ১০৭ ডেসিবেল পর্যন্ত ওঠে৷
যত্রতত্র মাইকের ব্যবহার
ঢাকা শহরে উচ্চ শব্দের মাইকের ব্যবহারে আইনি বিধিনিষেধ থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয় না৷ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নানা কারণে ঢাকায় ব্যবহৃত হয় উচ্চ শব্দের মাইক৷
রাজনৈতিক সমাবেশ
ঢাকায় শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ৷ এসব সমাবেশে প্রচুর মাইকের ব্যবহার হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমাবেশস্থল থেকে আশপাশের অনেকটা এলাকা জুড়ে মাইক স্থাপন করা হয়৷
ধর্মীয় অনুষ্ঠান
শব্দ দূষণের আরেক কারণ বিভিন্ন ধর্মের নানান অনুষ্ঠান৷ এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ওয়াজ মাহফিল৷ শহরের বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়৷ হিন্দু ধর্মের নানান অনুষ্ঠানেও গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো হয়৷
ওপেন কনসার্ট
ঢাকা শহরের নানান এলাকায় বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে ওপেন এয়ার কনসার্টের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে ব্যবহৃত হয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাউন্ড সিস্টেম৷ তাতেও ভয়ঙ্কর শব্দ দূষণ হয়৷
হাইড্রোলিক হর্ন
ঢাকার শব্দ দূষণের আরেক কারণ বিভিন্ন বাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার৷ হাইকোর্টের রায়ে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবে খুব একটা মানা হয় না৷
অযাচিত হর্ন
ঢাকা শহরে চালকরা অপ্রয়োজনে প্রচুর হর্ন বাজান৷ এমনকি যানজটে আটকে থাকলেও অনেক চালককে হর্ন বাজাতে দেখা যায়৷ ফলে ভয়াবহ শব্দ দূষণের সৃষ্টি হয়৷
লক্করঝক্কর পরিবহন
ঢাকা শহরের বাসগুলোর বড় একটা অংশই বহু বছরের পুরনো৷ ফলে এসব বাহনের ইঞ্জিন থেকে অস্বাভাবিক উচ্চ শব্দের সৃষ্টি হয়৷
ভবন নির্মাণ
ঢাকা শহরের সর্বত্রই বছরজুড়ে চলে ভবন নির্মাণকাজ৷ প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিকট শব্দে রড কাটা, ইট-পাথর ভাঙার কাজ হয়৷
লোড শেডিংয়ে জেনারেটর
ঢাকা শহরে সারা বছর, বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুমে লোড শেডিং একটি বড় সমস্যা৷ এ সময়ে বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ শব্দের জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে শব্দ দূষণের সৃষ্টি হয়৷
শিল্প কারখানা
শিল্প কারখানা কারখানা থেকেও সৃষ্টি হয় শব্দ দূষণ৷