শতবর্ষে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি
১৯২১ থেকে ২০২১, শতবর্ষে পৌঁছে কীভাবে ভাবছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, দেখুন এই ছবিঘরে...
যেভাবে উদযাপন করবে চীন
বৃহস্পতিবার শতবর্ষে পা রাখলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিসিপি৷ এই উপলক্ষে সাজ সাজ রব গোটা চীনজুড়ে৷ দলের নেতৃত্বের সাফল্যের কাহিনী আঁকা নানা ফেস্টুন=ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ৷ সোমবার থেকে বেইজিঙের জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে নানা ধরনের অনুষ্ঠান৷
দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির পরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল চীনের সিসিপি৷ ২০১৯ সালে এই দলের সদস্য সংখ্যা ছিল নয় কোটি ১৯ লাখ৷ ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর থেকেই দেশটির শাসনে রয়েছে এই দল৷
সিসিপির হাতে চীন
সিসিপির আমলে চীন প্রত্যক্ষ করেছে বহু যুদ্ধ, অনাহার ও সামাজিক বদল৷ গত ২০ বছরে লাখ লাখ চীনা নাগরিক দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন৷ আর্থসামাজিক ভাঙাগড়া চীনকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করে তুলেছে৷
সমালোচনা
সাফল্যের স্বীকৃতি এলেও বিশ্বজুড়ে বারবার সমালোচিত হয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বের নানা সিদ্ধান্ত৷ সাম্প্রতিক সময়ে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই প্রবণতা৷
সিসিপির সমালোচিত কিছু ইস্যু
হংকঙে গণতন্ত্রপন্থিদের প্রতি সিসিপির মনোভাব, উইগুর মুসলিমদের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণ, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা নজরদারী - সব ক্ষেত্রেই সিসিপির ভূমিকা বিশ্বে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে৷ কিন্তু তা আদৌ আমল পায়নি পার্টির অন্দরমহলে৷
ইতিহাসের পুনর্গঠন
ফেব্রুয়ারিতে জিনপিং ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অফ চাইনা’ প্রকাশ করেন যা ৫০০ পাতা দীর্ঘ পার্টির ইতিহাসের দলিল৷ বিশেষজ্ঞদের মত, এই দলিল আসলে সরকারের দুর্বলতা লুকিয়ে সাফল্যের দিকে জোর দেয়৷ তিয়েনআনমেন স্কয়ার বা অনাহারের মতো সময়ের উল্লেখ সেখানে খুবই কম, বরং শি জিনপিঙের দৃঢ় নেতৃত্বের কথাই বেশি৷
বিশ্বে চীনকে উপস্থাপন যেভাবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, শি জিনপিঙের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে চীনকে এমনভাবে উপস্থাপন করা, যাতে করে বিশ্বে দেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে বিবেচিত হয়৷ এমন শক্তি, যাকে কোনো অর্থনৈতিক ধাক্কা বা অতিমারি, কোনো কিছুই নোয়াতে পারে না৷ বিশেষ করে, পশ্চিমা দেশগুলির চীন সম্পর্কিত ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে নিজের বিকল্প ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে সিসিপির শতবর্ষকে ব্যবহার করছে সরকার, বলছেন তারা৷