ল্যাবে বিকশিত মস্তিষ্কে স্নায়বিক তরঙ্গ
১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ছোট এই মস্তিষ্কটিতে চেতনা ছিল কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে এই উদ্ভাবন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রকে এগিয়ে নেওয়ার পথ দেখাবে৷
মস্তিস্কের উন্নয়নমূলক প্রক্রিয়া তথা ‘ব্রেইন অর্গানয়েডস' নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে গবেষণা চললেও এর আগে কখনো তাতে কার্যকরি নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব হয়নি৷
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী অ্যালিসন মউত্রি এএফপিকে বলেন, ‘‘আপনি যদি পাঁচ বছর আগে আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, ব্রেইন অর্গানয়েডে কী এমন কোন জটিল নেটওয়ার্কের উপস্থিত আছে যা মস্তিষ্কে তরঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম- আমার উত্তর হতো; না৷''
সেল প্রেস জার্নালে গত বৃহস্পতিবার মউত্রি ও তার সহকর্মীদের প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্টেম সেলের যথাযথ বিকাশের কারণেই মস্তিষ্ক নিয়ে এই গবেষণাটির একটি অংশ সফল হয়েছে৷
এর অন্য অংশটিও ছিল আশ্চর্যজনক৷ কারণ গবেষকরা চিন্তা করেছিলেন ঠিক যেমন গর্ভে অনাগত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে তেমনই যেন নিউরনগুলোকে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বিকাশ করা যায়, বাস্তবেও তেমনটা করা সম্ভব হয়েছে৷
অর্গানয়েড থেকে মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলো ফেটে যাওয়ার বিষয়টিকে গবেষক দলটি প্রায় দুমাস ধরে সনাক্ত করেন৷ তাঁরা দেখতে পান, সংকেতগুলো খুব পাতলা এবং একই ফ্রিকোয়েন্সির, যা কেবল খুব অপরিণত মানব মস্তিষ্কে দেখা যায়৷
তারা বলছেন, সংকেতগুলো ধারাবাহিকভাবে যতই বাড়তে থাকে, ততই তারা মস্তিষ্কে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার তরঙ্গ তৈরি করে এবং মস্তিষ্কের এ সংকেতগুলো আরো নিয়মিতভাবে নিজেদের উপস্থিত জানান দিয়ে নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোকে বিকাশের পথ দেখায়৷
এসআই/কেএম (এএফপি)