1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজলেবানন

লেবাননে জিততে পারলো না হেজবোল্লাহ

১৮ মে ২০২২

লেবাননে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না হেজবোল্লাহ ও তাদের সমর্থক দলগুলি। সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় আসন থেকে সামান্য দূরে তারা।

https://p.dw.com/p/4BRhV
লেবাননে হেজবোল্লাহ প্রধানের ছবির সামনে দিয়ে সেনার টহলদারি।
লেবাননে হেজবোল্লাহ প্রধানের ছবির সামনে দিয়ে সেনার টহলদারি। ছবি: Mohammed Zaatari/AP Photo/picture alliance

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভোটের যে ফলাফল ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কোনো দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

কী ফলাফল হয়েছে

১২৮ সদস্যের পার্লামেন্টে হেজবোল্লাহ ও তার সহযোগী দলগুলি ৬২টি আসন জিতেছে। গতবার তারা জিতেছিল ৭১টি কেন্দ্রে। ফলে অল্পের জন্য তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

২০২০-র বৈরুত বিস্ফোরণ ও করোনার ফলে দেশের অর্থনীতি বেহাল হওয়ার পর এই প্রথম নির্বাচন হলো লেবাননে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শিয়াদের জন্য সংরক্ষিত আসনে হেজবোল্লাহ ও তার সহযোগী দলগুলি ২৭টি আসনে জিতেছে। কিন্তু যেগুলি শিয়াদের জন্য সংরক্ষিত নয়, সেখানে ভালো ফল করতে পারেনি তারা। তাদের বিরোধী এবং সৌদি ও অ্যামেরিকাপন্থি ক্রিশ্চান দলগুলি ২০টি আসনে জিতেছে। হেজবোল্লাহপন্থি ফ্রি প্যাট্রিওটিক মুভমেন্ট পেয়েছে ১৮টি আসন। সংস্কারপন্থি নতুন দল ফোর্স ফর চেঞ্জ পেয়েছে ১২টি আসন।

নতুন প্রার্থীরা জিতেছেন

প্রতিষ্ঠিত দল ও চেনামুখের প্রতি আকর্ষণ কিছুটা হারিয়েছেন লেবাননের ভোটদাতারা। গত দুই বছর ধরে লেবাননের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। জাতিসংঘের হিসাব, লেবাননের চারভাগের মধ্যে তিনভাগ মানুষই খুব গরিব।

এই অবস্থায় একেবারে জনগণের মধ্যে থেকে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা বিরোধী প্রার্থীরা জিতেছেন।

এবার নির্বাচনে অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল, হেজবোল্লাহের হাতে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আছে, তা থাকা উচিত কি না।

এখন প্রশ্ন হলো, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচন কী করে হবে? রীতি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চান, প্রধানমন্ত্রী সুন্নি মুসলিম এবং স্পিকার শিয়া মুসলিম হন।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)