লিবিয়া নিয়ে ন্যাটো, ইইউতে বৈঠক শুরু হচ্ছে আজ
১০ মার্চ ২০১১ন্যাটো, ইইউ বৈঠক
বৃহষ্পতিবার থেকে দুদিনের বৈঠক শুরু করছেন ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ইইউ'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ এর মধ্যে ন্যাটোর মন্ত্রীরা লিবিয়ার উপর উড়াল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করবেন৷ ব্রিটেন আর ফ্রান্স ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে৷ সেটা নিয়েই আলোচনা করবেন তাঁরা৷ এদিকে ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, সিদ্ধান্ত যেটাই হোক সেটা বাস্তবায়নে তারা প্রস্তুত৷ আর ইইউ মন্ত্রীরা মূলত আলোচনা করবেন, কীভাবে রাজনৈতিক উপায়ে গাদ্দাফিকে আরও চাপে ফেলা যায় সে বিষয়ে৷ এছাড়া আরও কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় কি না সেটাও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ এদিকে ন্যাটো আর ইইউ'র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে গাদ্দাফি তাঁর সমর্থক কূটনীতিকদের পাঠিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷
লিবিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি
বুধবার সারাদিন ধরে গাদ্দাফি বাহিনী জাউইয়া শহরের দখল নিতে হামলা চালিয়েছে৷ এর মধ্যে একবার সফলও হয়েছিল বলে খবর পাওয়া গেছে৷ তবে দিন শেষে শহরের দখল আবার বিদ্রোহীদের কাছে গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন এক বিদ্রোহী৷ যদিও সরকারি টেলিভিশনে বলা হচ্ছে শহরের দখল নিয়েছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ এদিকে, স্থানীয় এক ডাক্তার বলেছেন তিনি রাস্তায় অনেকে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন৷ যাদের মধ্যে রয়েছে বয়স্ক মানুষের লাশ৷ রয়েছে নারী ও শিশুর মৃতদেহ৷ নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ হবে বলে জানান তিনি৷ তবে সংখ্যাটা এর চেয়েও বেশি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন তিনি৷
শরণার্থী
বাইরের বিশ্বের কাছে ভাল ইমেজ তুলে ধরতে লিবিয়া সরকার বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের লিবিয়া ছাড়তে বাধা দিচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ তাদের মধ্যে একজন হলেন টিউনিশিয়ায় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান৷ তিনি বলছেন মঙ্গলবার মাত্র তিন হাজার শরণার্থী লিবিয়া সীমান্ত দিয়ে টিউনিশিয়ায় ঢুকেছেন৷ যেখানে এর আগের দিনগুলোতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার জন করে ঢুকতো৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারও এ ধরনের আশঙ্কা করছেন৷ এদিকে শরণার্থীদের সাহাযার্থে আগামী তিন মাসের জন্য ১৬০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার