লিবিয়া নিয়ে উদ্বেগ অনেক, উদ্যোগ সামান্য
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১পশ্চিম বিশ্বের প্রস্তাবনা
লিবিয়ায় গাদ্দাফিপন্থীদের সঙ্গে সরকারবিরোধীদের সহিংসতা চলছে সপ্তাহখানেক ধরে৷ এই সংঘাতে মৃতের সংখ্যাও ৩০০ ছাড়িয়েছে৷ কোন কোন গোষ্ঠীর দাবি, মৃতের সংখ্যা দুই সহস্রাধিক৷ এরকম অবস্থায় পশ্চিমবিশ্ব এখনো সেদেশের পরিস্থিতি শান্ত করতে কোন বড় উদ্যোগ নিতে পারেনি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে গত বুধবার লিবিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়৷ সম্পত্তি জব্দ করা সহ সেদেশের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ইইউ৷ তবে এসব বাস্তবায়নে কয়েক সপ্তাহ প্রয়োজন৷ বৃহস্পতিবার অবশ্য ইইউ লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার কথা বলেছে৷ একইসঙ্গে এটিকে অনেক জটিল এবং কঠিন সম্ভাবনা বলে আখ্যা দিয়েছে ইইউ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার সহিংসতা দমনে সব উপায়ই খোলা রাখছে৷ প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা কিংবা সামরিক হস্তক্ষেপেও আপত্তি নেই সেদেশের৷ তবে, সুর্নিদিষ্ট কোন পদক্ষেপের ঘোষণা এখনো করেনি যুক্তরাষ্ট্র৷
পশ্চিম বিশ্ব এই সংকট নিরসনে কি করতে পারে
আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ এর মতে, পশ্চিম বিশ্ব এখনই লিবিয়ার সম্পত্তি জব্দ করতে পারে৷ সেদেশের বিমান ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যারা, যাঁরা গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করেছেন, তাঁদের আশ্রয় দিতে পারে পশ্চিম৷ লিবিয়ার অস্ত্র ক্রয়ের সব পথ এখনই বন্ধ করা এবং সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে পারে অন্য দেশগুলো৷ এছাড়া মানবাধিকার সংস্থাগুলো লিবিয়ার আকাশসীমায় সবধরনের উড়াল নিষিদ্ধ করতে ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ সেক্ষেত্রে সাধারণ লিবীয়দের উপরে বিমান হামলা চালাতে সক্ষম হবেনা গাদ্দাফি পন্থীরা৷
নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফল পেতে বহু দেরি
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, লিবিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া৷ এতে অনেক সময় লাগবে৷ সমালোচনার সুরে বিশ্লেষকদের মন্তব্য, পশ্চিম বিশ্ব এই সংকট নিরসনে শম্বুকগতিতে এগোচ্ছে৷ সাদি হামিদ নামক একজন বিশেষজ্ঞ রয়টার্সকে জানান, ওয়াশিংটন লিবিয়ার বিরুদ্ধে যেকোন উপযুক্ত উদ্যোগ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে৷ কিন্তু উপযুক্ত উদ্যোগ কি হবে তা জানাতে বেশ সময় নিচ্ছে পশ্চিমী নেতৃত্ব৷ তাছাড়া ইউরোপের কিছু দেশের আশঙ্কা, লিবিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, ইউরোপে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাবে৷ এই নিষেধাজ্ঞা প্রকারান্তরে সাধারণ লিবীয়দেরই ক্ষতি করবে বলেও মত অনেকের৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়