1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযানে ধীরগতির অভিযোগ

৬ এপ্রিল ২০১১

লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযানে ধীরগতির সমালোচনা করলেন সেদেশের বিরোধী নেতা৷ ন্যাটো অবশ্য জানিয়েছে, বেসামরিক প্রাণহানি রক্ষায় কিছুটা সতর্ক সামরিক জোটটি৷ এদিকে, মুসা কুসার বদলে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে লিবিয়া৷

https://p.dw.com/p/10o2A
লিবিয়ার যুদ্ধ অব্যাহতছবি: dapd

সরকার বিরোধী বাহিনীর অভিযোগ

লিবিয়ার বিরোধী আন্দোলনের নেতা আব্দেল ফাতাহ ইউনিস দাবি করেছেন, মিসরাতায় গাদ্দাফি বাহিনী যখন মানুষ হত্যা করছে, তখন ন্যাটো নীরব ভূমিকা পালন করছে৷ তিনি জানান, জাতিসংঘের ছাড়পত্র সত্ত্বেও ন্যাটো কিছুই করছে না৷ তাঁর অভিযোগ, মাত্রাতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে ন্যাটো যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে ঘন্টার পর ঘণ্টা সময় নিচ্ছে৷ ইউনিসের দাবি, ন্যাটো বেসামরিক প্রাণহানি নিয়ে চিন্তিত, অথচ গাদ্দাফি বাহিনী যে এলাকায় আছে সেখানে কোন বেসামরিক নাগরিক নেই৷ এভাবে আরো সপ্তাহখানেক চলতে থাকলে মিসরাতা বলে কিছু থাকবে না বলে দাবি করেন এই বিরোধী নেতা৷

Libyen Aufständische bei Brega
গাদ্দাফি বাহিনীর হামলায় বিপর্যস্ত বিরোধীরাছবি: dapd

ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া

ন্যাটো জানিয়েছে, মিসরাতার যুদ্ধের দিকেই এখন মূল নজর তাদের৷ তবে সামরিক জোটটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মার্ক ফন উম বলেছেন, যখন মানুষকে প্রতিরক্ষা বর্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন আমরা আক্রমণ করিনা৷ গাদ্দাফি বাহিনী বর্তমানে ভারি অস্ত্রশস্ত্র জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে লুকাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ তাছাড়া বর্তমানে সরকারপন্থী বাহিনী হালকা বাহন নিয়ে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে৷ মার্ক বলেন, এর অর্থ হচ্ছে তাদের লক্ষ্য করে হামলা না চালালেও একটি প্রভাব সেখানে বিরাজ করছে৷ যেকারণে গাদ্দাফি বাহিনী ভারী অস্ত্র ব্যবহারের সাহস পাচ্ছে না৷ এর আগে ন্যাটো জানায়, বিমান হামলার কারণে ইতিমধ্যে গাদ্দাফির সামরিক শক্তি এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে৷

লিবিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মুসা কুসা গত সপ্তাহে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন৷ লিবিয়ার সরকার ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক আব্দেলাতি ওবেইদি'কে সেদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছে৷ অন্যদিকে, গ্রিসের একটি তেল পরিবাহী জাহাজ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের তোবরুক তেল বন্দরে পৌঁছেছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এই জাহাজটি ১০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যমানের তেল পরিবহনে সক্ষম৷ বিবিসি জানিয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় লিবিয়ার সরকার বিরোধীরা তেল রপ্তানির এই উদ্যোগ নিয়েছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য