1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় বোমা হামলা

২৬ আগস্ট ২০১৪

গত এক সপ্তাহ ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত খুব গোপনে জঙ্গি বিমান দিয়ে লিবিয়ায় ইসলামি জঙ্গিদের উপর বোমা হামলা চালাচ্ছে৷ আর এ কাজে তারা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে মিশরকে৷ সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা৷

https://p.dw.com/p/1D1Ck
ত্রিপোলি বিমানবন্দরে হামলার চিহ্নছবি: Reuters

সংযুক্ত আরব আমিরাত গোপনে গত সাত দিনে জঙ্গি বিমান পাঠিয়ে অন্তত দুই দফা বোমা বর্ষণ করেছে লিবিয়ায়৷ ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তারের জন্য আরব আমিরাত এর আগে লিবিয়া, সিরিয়া এবং ইরাকে প্রক্সি যুদ্ধ চালালেও, এই প্রথম সরাসরি হামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল৷ লিবিয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোমা হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশিত হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসে৷ এছাড়া, ইসলামি সশস্ত্রগোষ্ঠীও ঐ একই অভিযোগ করেছে৷ তাদের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই হামলা চালাচ্ছে৷ পরে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এক কর্মকর্তাকে এ তথ্যের নিশ্চয়তা সম্পর্কে জানাতে বললে তিনিও তা স্বীকার করেন৷

Libyen/ Kämpfe /Tripolis
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ায় বোমা হামলা চালিয়েছে আরব আমিরাতছবি: Reuters

প্রথম হামলাটি চালানো হয় ঠিক এক সপ্তাহ আগে ত্রিপোলিতে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ঐ হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে৷ দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয় শনিবার৷ সেদিন ভোরে ত্রিপোলির দক্ষিণে জঙ্গিদের রকেট লঞ্চার, সামরিক যান এবং ওয়ার হাউজ লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে৷

ত্রিপোলি বিমানবন্দরকে জঙ্গিমুক্ত করার কৌশল হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে এ বিষয়টা এখনো নিশ্চিত নয় যে, আরব আমিরাত এবং মিশর তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করবে কিনা৷ হামলা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র জানত কিনা – এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তারা কিছুই নিশ্চিত করেনি৷ মিশর ও আরব আমিরাত কর্মকর্তারাও কোনো মন্তব্য করেননি এ ব্যাপারে৷

Libyen Kämpfe
এই প্রথম সরাসরি হামলার সঙ্গে জড়িয়েছে আরব আমিরাতছবি: Reuters

মিশর, সৌদি আরব আর আমিরাতের মতে, ইসলামি জঙ্গিদের দমন না করা গেলে খুব শিগগিরই তারা তাদের এলাকার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে৷ ইসলামি দলগুলো আরব বসন্তের পর কাতার ও তুরস্কের সহায়তায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে৷

এদিকে, এই হামলার ঘটনা প্রকাশের পর সোমবার লিবিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে এক যৌথ বিবৃতি ইস্যু করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি এবং যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই সাথে এই হামলার নিন্দাও জানিয়েছে দেশগুলি৷ লিবিয়ায় যাতে কোনো ধরনের যুদ্ধ ও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন নেতারা৷

আমিরাতে বোমা হামলার কথা উল্লেখ না করে ঐ বিবৃতিতে জানানো হয় যে, লিবিয়ায় বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ সেখানকার গণতন্ত্র সংস্কারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে৷ অন্যদিকে লিবিয়ার সরকার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন পেলে তারা লিবিয়ায় নির্বাচিত সরকার গঠন করতে পারবে৷

Libyen Luftangriff auf Tripolis
ছবি: Reuters

এই হামলার পর ত্রিপোলিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে৷ গত এক দশকে আমিরাত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশ কয়েকটি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান কিনেছে৷ এছাড়া ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, বোমা এবং মিসাইলও কিনেছে দেশটি৷ আমিরাতে বর্তমানে ৫,০০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে৷ এদের বেশিরভাগই আল-দাফরা বিমান ঘাঁটিতে অবস্থান করছে৷

ওদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম দাব্বাসি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘‘মিশর ও আমিরাত এই হামলা চালিয়েছে সেটা বিশ্বাসই হচ্ছে না৷ কেননা তারা প্রযুক্তিগতভাবে এতটা শক্তিশালী নয় এবং রাজনৈতিক কারণেও তাদের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়৷''

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য