1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লালমনিরহাটে হামলা আতঙ্কে দুই সংখ্যালঘু পরিবার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ অক্টোবর ২০১৪

লালমনিরহাটে দুটি সংখ্যালঘু পরিবার হামলার আতঙ্কে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ পরিবারের সদস্য ভোলানাথ রায়কে হত্যার অভিযোগে আটক স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জামিনে ছাড়া পেয়ে তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/1DZJH
Bangladesch Hindus Überfall Jessore
(ফাইল ফটো)ছবি: DW

লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নওদাবাস গ্রামে ভোলানাথ রায় (৬৫) এবং তাঁর ভাই মনীন্দ্র চন্দ্র রায় পাশাপাশি বাড়িতে পরিবার পরিজনসহ বসবাস করেন৷ ভোলানাথের বাড়ির পাশেই তাঁর একটি পুকুর আছে৷ গত ৯ই অক্টোবর সেই পুকুরের মাছ জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সদস্য রেজাউল করিম রেজা ও তাঁর সহযোগীরা৷ এতে বাধা দিলে ভোলানাথ ও তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী মাধব চন্দ্র ডয়চে ভেলেকে জানান, সেদিন হামলা চালিয়ে দু'টি বাড়িই ভাঙচুর, মালামাল লুট এবং বাড়ির সদস্যদের মারধর করা হয়৷ ভোলানাথের ছেলে সুবল চন্দ্র রায় ডয়চে ভেলেকে জানান যে, তাঁর বৃদ্ধ বাবা জীবন বাঁচাতে খাটের নীচে লুকিয়ে ছিলেন৷ সেখান থেকে তাঁকে বের করে রড দিয়ে বেদম পেটানো হয়৷ আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপতালে ভর্তি করা হলে দু'দিন পর তিনি মারা যান৷

হামলার পর পুলিশ মামলা না নিলেও ভোলানাথ রায় মারা যাওয়ার পর পুলিশ মামলা নেয়৷ কিন্তু প্রতিপক্ষের দায়ের করা একটি অভিযোগও নিয়েছে পুলিশ৷ গত ১১ই অক্টোবর পুলিশ ভোলানাথ হত্যা মামলায় মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে৷ তাদের মধ্যে মূল আসামি রেজাউল করিম রেজা পরেরদিনই আদালত থেকে জামিন পান৷ ভোলানাথের আরেক ছেলে সুভাষ চন্দ্র রায় ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘জামিনে ছাড়া পেয়েই রেজাউল করিম তাদের দুই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য৷ অন্যথায় আমাদের ওপর আবার হামলা চালানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে৷ উপরন্তু আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে তারা৷ পুলিশ কোনোরকম সহযোগিতা করছে না৷''

নিহত ভোলানাথের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী রায় সেই দিনের হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘‘তারা অন্তত ৪০ জন ধারালো অস্ত্র এবং রড নিয়ে হামলা চালায়৷ পরিবারের সব সদস্যদেরই মারপিট করেছে৷ তাঁর স্বামী বৃদ্ধ ভোলানাথকেও রেহাই দেয়নি৷ হামলার সময় তারা স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করেছে৷ সেই লুট হওয়া মালামাল এবং স্বর্ণালঙ্কার এখনো পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি৷''

হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার এসআই আনিসুর রহমান জানান, ‘‘আমরা হত্যা মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি৷ কিন্তু একজন আদালত থেকে জামিন পেয়েছে৷'' তিনি মামলার তদন্তে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে৷''

এছাড়া কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নিহত ভোলানাথের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ তাদের হুমকির কথা জানায়নি৷ আমরা পরিবারটির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি, নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি৷'' ভোলানাথের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলাকারীদের মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘তারাও একটি অভিযোগ দিয়েছে৷ সেই অভিযোগেরও তদন্ত হচ্ছে৷ তবে অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য