লন্ডনে লকডাউন, ভ্যাকসিন এবং মাস্কবিরোধী মিছিল
ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো৷ লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধির সুবাদেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশটি৷ ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই লন্ডনে লকডাউন, ভ্যাকসিন এবং মাস্কবিরোধী বিশাল জনস্রোত৷ দেখুন ছবিঘরে...
ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষুব্ধরা
তারা মনে করেন করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু ঠেকাতে লকডাউন, টিকা নেয়া, মাস্ক পরা- কিছুরই কোনো দরকার নেই৷ তাই সপ্তাহান্তে ট্রাফালগার স্কয়ারে তাদের বিশাল জমায়েত৷
কেলেঙ্কারির ব্যাপার...
এই তিন তরুণ অন্তত তাই মনে করেন৷ তারা মনে করিয়ে দিলেন করোনা সংকটটা ‘উহান কেলেঙ্কারি’র ফসল৷
সরকারকে চ্যালেঞ্জ
নানা ধরনের বক্তব্য ছিল সমাবেশে৷ ওপরের ছবিতে কেউ কেউ দাবি করছেন, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করা যাবে না, কারো দাবি আবার তাদের সন্তানদের রক্ষা করার৷ তবে সবচেয়ে বড় প্ল্যাকার্ডটিতে সরকারের ক্ষমতাকে অস্বীকা করে একজন লিখেছেন, ‘‘আমাদের ওপর আপনাদের জোর খাটবে না৷’’
শরীর যার, টিকা নেয়ার সিদ্ধান্তও তার?
বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকেই মনে করেন, টিকা নেয়ার বিষয়টি নিছকই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার৷ কারণ, যাকে টিকা দেয়া হবে, শরীরটা তো তার৷ তাই ছবির এই নারীর হাতের প্ল্যাকার্ডেও লেখা, ‘‘আমার শরীর, আমার পছন্দ৷’’
স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন
মাস্ক পরেননি, শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখেননি কেউ৷ অনেকে এভাবে কোলাকুলি করেও বুঝিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানেন না তারা৷
মুক্ত মুখের দাবি
করোনা সংক্রমণ এড়াতে মুখে মাস্ক পরাকেও এক ধরনের পরাধীনতাই মনে করেন তারা৷ তাই পোস্টারে লেখা, ‘‘আপনার মুখকে মুক্ত করুন৷’’
মাস্কধারীদের মৃত্যু-পরোয়ানা
লন্ডনে লকডাউন, করোনা টিকা এবং মাস্কবিরোধী মিছিলে একজনকে মাস্কধারীদের জম্বি হিসেবে উল্লেখ করে তাদের মৃত্যুর জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন৷ হাতের প্ল্যাকার্ডে সে-কথাই লেখা৷
ভয় নয়, স্বাধীনতা চাই
ওপরের ছবিতে প্রথম সারির একেবারে বাঁ দিকের নারীর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘মুক্তি, নয় ভীতি’’, অর্থাৎ তিনি মনে করেন, করোনা সংকটের কথা বলে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার, এখন সবার মুক্তভাবে চলাফেরার স্বাধীনতা দরকার৷
ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বিরুদ্ধে
ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে বলে ভ্যাকসিন পাসপোর্টেরও ঘোর বিরোধী তারা৷ তাই লন্ডনের বিক্ষোভ মিছিলে অনেকের হাতের প্ল্যাকার্ডেই লেখা ছিল, ‘‘নো ভ্যাকসিন পাসপোর্ট৷’’