1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লন্ডনের কম দামি ফ্ল্যাট?

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

লন্ডনের কেন্দ্রে বাস করতে চান অনেকে৷ কিন্তু বাসাবাড়ির যে দাম তাতে সবার পক্ষে সেটা সম্ভব হয় না৷ তাই বাড়ি কিনতে লন্ডনের বাইরে চলে যেতে হয় অনেককে৷ তবে একটি কোম্পানি সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/2Wlfg
England London Anti-Fracking Protest Greenpeace
ছবি: Greenpeace/Kristin Buus

কোম্পানির নাম ‘পকেট'৷ লন্ডনের হ্যাকনি এলাকায় তাদের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন জর্জি লিস্টার-ফেল৷ এমনিতে তার পক্ষে ঐ এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট কেনা সম্ভব ছিল না৷ কিন্তু ‘মিনি ফ্ল্যাট' প্রকল্পের কারণে তা সম্ভব হয়েছে৷ অ্যাপার্টমেন্টটি মাত্র ৩৮ বর্গমিটারের হলেও জর্জির কাছে সেটি কোনো সমস্যা নয়৷ কারণ তাঁর ফ্ল্যাটে একটি বাথরুম সহ আছে একটি বেডরুম ও একটি লিভিং রুম৷ এমন এক এলাকায় থাকতে পারাটাই জর্জির কাছে বিলাসিতা৷

তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে, ফ্ল্যাটটি সেই এলাকায় অবস্থিত আমি যেখানে থাকতে চাই৷ আমি এই এলাকায় অনেক বছর ধরে আছি৷ আমার সব বন্ধুরা আশেপাশেই থাকে৷ মাত্র ১৫ মিনিটেই আমি অফিসে পৌঁছে যেতে পারি৷ ‘মিনি ফ্ল্যাট' প্রকল্প না থাকলে আমি এই এলাকায় থাকতে পারতাম না৷ তাই আমি খুশি৷''

লন্ডনে এমনিতে অ্যাপার্টমেন্টের অনেক দাম৷ সাধারণ একটি টাউনহাউস বা ফ্ল্যাটের দাম দশ লাখ ইউরোর বেশি হয়ে থাকে৷ তাই মধ্যম আয়ের ব্যক্তিদের শহরের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে ৪০০টি ছোট আকারের অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে৷

লন্ডনে কম দামি ফ্ল্যাটের সন্ধান

ফ্ল্যাটগুলোর দাম দুই লক্ষ ইউরো থেকে শুরু হয়৷ বাজার দরের চেয়ে এগুলোর দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কম৷ বিশেষ নকশার মাধ্যমে সেটা সম্ভব হচ্ছে৷ পকেট কোম্পানির নকশাকারী রাস এডওয়ার্ডস বলেন, ‘‘ফ্ল্যাটের জানালাগুলো উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে৷ ফলে এর মাধ্যমে ঘরে প্রচুর আলো ঢোকে৷ এছাড়া ফ্ল্যাটে কোনো ব়্যাডিয়েটর নেই৷ ঘর গরম রাখার জন্য মেঝের নীচে তাপের ব্যবস্থা আছে৷ তাই আসবাবপত্র সাজাতে গিয়ে ব়্যাডিয়েটরের কথা চিন্তা করতে হয় না৷''

জর্জির ছোট্ট ফ্ল্যাটে আছে একটি ডাবল বিছানা আর টেবিল৷ কাপড়চোপড় ও বাসনপত্র রাখার বিল্ট-ইন আলমারির কারণে জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে৷ ওয়াশিং মেশিনের মতো মেশিনগুলোও সতর্কভাবে রাখা আছে৷

‘পকেট' কোম্পানির ফ্ল্যাটগুলোর আরেকটি সুবিধা সবুজ আঙিনা ও ছাদ যেখানে সবাই গল্প করতে পারেন৷

তবে জর্জি বলেন, তার পক্ষে হয়ত সবসময় এখানে থাকা সম্ভব হবে না৷ ‘‘ভবিষ্যতে আমি যদি বিয়ে করি, পরিবার চাই তাহলে আমার আরও বড় জায়গার প্রয়োজন পড়বে৷ তখন হয়ত আমাকে লন্ডনের বাইরে চলে যেতে হবে৷''

‘পকেট' কোম্পানিও ভবিষ্যতের কথা ভাবছে৷ তাই তো ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্টের কাজ শুরু হয়ে গেছে৷

হেন্ড্রিক ওয়েলিং/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য