রোগের নাম ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস
১ জুন ২০১০ইংল্যান্ডের পোর্ট্সমাউথের মেয়ে ১৯ বছর বয়স্ক বিলি জো টুইগ৷ প্রথমে বিলি জো পায়ে হালকা ব্যাথা অনুভব করছিল কিন্তু তেমন পাত্তা দেয়নি৷ ধরে নিয়েছিল মাংসপেশিতে হয়তো কোথাও টান পড়েছে৷ কিন্তু জামাট বাধা রক্ত স্পষ্টতই চোখে পড়ছিল যে কারো৷
পরদিন স্কুলে জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিলি জোর পায়ে জমাট বাধা রক্ত সেই সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবেই ফুলে যাওয়া অংশ৷ এক প্রকার জোর করেই তিনি বিলি জো'কে চিকিৎসকের কাছে পাঠান৷
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরই শুরু হয় চিকিৎসা৷ চিকিৎসকরা তিনটি বিভিন্ন ধরণের জমাট বাধা রক্তের চাকা দেখতে পান বিলি জো'র পায়ে৷
বিভিন্ন জরিপে জানানো হয়, ৪০ বছরের নীচে যাদের শরীরে কোন কারণ ছাড়াই জমাট বাধা রক্তের চাকা দেখা গেছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই মারা গেছে৷ ২০০৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় এগার'শ৷ এর মধ্যে প্রায় ৬০ জনই মারা গেছে যাদের বয়স ২০ বছরের নীচে৷
প্রফেসর বেভারলি হান্ট জানান, থ্রম্বসিসের ব্যাথা অনেকই অনুভব করে, রক্ত জমাট বাধা অংশ দেখে কিন্তু গ্রাহ্য করে না৷ এই সমস্যা বেড়েই চলেছে৷ সাধারণ মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তিনি জানান, ‘‘আমার ক্লিনিকে অনেক অল্প বয়স্ক ছেলে মেয়েরা আসছে৷ সবার একই অভিযোগ - পায়ে ব্যাথা, কোন ব্যাথা পায়নি অথচ পা ফুলে রয়েছে৷ এগুলোই হচ্ছে মূল লক্ষণ৷ নিয়মিত চেকআপে থাকার পরামর্শ আমরা দিচ্ছি৷ সঙ্গে দিচ্ছি ব্লাড-থিনারের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ৷''
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদন: দেবারতি গুহ