1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের রক্ষা করার আহ্বান জানালো অ্যামনেস্টি

আশীষ চক্রবর্ত্তী২৩ অক্টোবর ২০১৫

বর্ষা শেষে আবার সাগরে ভাসবে নৌকা, আবার শুরু হতে পারে মিয়ানমার ছেড়ে আসতে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং অসহায় মৃত্যু৷ তাই আগেভাগেই রোহিঙ্গাদের রক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেছে অ্যামনেস্টি৷

https://p.dw.com/p/1Gt3t
Indonesien Rohingya Bootsflüchtlinge in Aceh
ছবি: Reuters/Beawiharta

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অবর্ণনীয় অত্যাচার সয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানো ১০০ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করেছে এই প্রতিবেদন৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এসেছে অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদন৷

৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নির্যাতন থেকে বাঁচতে মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে মিয়ানমার ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপর্যয়ই ডেকে আনছে রোহিঙ্গা মুসলমানরা৷ টাকা আদায়ের জন্য তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায় মানবপাচারকারীরা৷ টাকা না পেলে হত্যা করে সাগরে ভাসিয়েও দেয়া হয় লাশ৷ ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গারাই অ্যামনেস্টিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন৷

রোহিঙ্গারা বলেছেন, এখনো কয়েক হাজার রোহিঙ্গা সাগরপথে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে৷ বর্ষা শেষ হলেই নৌকাগুলো গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করবে৷ মানবাধিকার সংস্থাটি মনে করে, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিলে আবারও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে৷

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে কমপক্ষে ৩৭০ জন মারা যান৷ তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, মৃতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি৷

মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া সরকার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া ৭ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে সম্মত হলেও বাকিদের ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল৷ বাংলাদেশ সরকার এই তিনটি দেশে আটকে থাকা বাঙালিদের ফিরিয়ে এনেছে৷ এখনো যাঁরা দেশ তিনটিতে রয়েছেন, তাঁদেরও ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারেও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন৷

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে৷ মিয়ানমার সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি৷

আপনার কিছু বলার আছে? জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য