রেলগাড়ি ঝমাঝম
মার্কিন মুলুকের নেভাডায় চলেছে এক অতি দ্রুত রেলগাড়ি তৈরির প্রচেষ্টা৷ প্রকল্পটির দায়িত্বে রয়েছেন স্পেস-এক্স-এর প্রধান ইলন মাস্ক৷
ঘণ্টায় ১,২০০ কিলোমিটার গতির ট্রেন
ইলন মাস্ক-এর কনসেপ্টটির নাম দেওয়া হয়েছে হাইপারলুপ৷ মহাকাশ অভিযান সংস্থা স্পেস-এক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক আর মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা মিলে এই নিউম্যাটিক টিউব প্রণালীর যানচলাচল পদ্ধতি সৃষ্টি করতে চান, যা সানফ্রানসিস্কো আর সিলিকন ভ্যালিকে ক্যালিফর্নিয়ার সেন্ট্রাল ভ্যালি ও লস এঞ্জেলেস-এর সঙ্গে যুক্ত করবে৷
আংশিক বায়ুশূন্যতায় প্রায় কোনো ঘর্ষণ থাকবে না
টিউবের মধ্যে বায়ুর চাপ কম রাখা হবে, তবে তা পুরোপুরি বায়ুশূন্য হবে না৷ এর ফলে হাইপারলুপ ট্রেনটি চলার সময় অনেক কম বায়ু প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে৷
শুধু ডাঙাতেই নয়, জলের তলাতেও চলবে হাইপারলুপ
জলের তলায় সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তা-তে টিউব বসালেই হলো৷ অবশ্য প্রকল্পটি এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে৷ ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে লাস ভেগাস-এর কাছে নেভাডায় একটি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে – অবশ্য সেখানে ছোট মাপের হাইপারলুপ চালিয়ে দেখা হবে৷
বাতাসের ওপর ভেসে চলা
মডেল হাইপারলুপ ট্রেনগুলো ভেসে থাকবে তাদের নিজেদের দুর্ধর্ষ গতি থেকে সৃষ্টি করা এয়ার কুশন-এর ওপর৷ হাইপারলুপের গতিবেগ হবে নাকি ঘণ্টায় ১,২০০ কিলোমিটার! প্রশ্ন হলো, যাত্রীরা ঐ বিষম গতি সামলাতে পারবেন কিনা, বিশেষ করে ট্রেন যখন হঠাৎ স্পিড নেবে৷ আর পথে বিপদ ঘটলে যাত্রীদের কাছে পৌঁছানোরও একটা ব্যবস্থা চাই৷
‘যেন উড়ে চলেছি’
জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেন আপাতত চালানো হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে, কিছু কিছু বাছাই যাত্রী সেই আশ্চর্য অভিজ্ঞতা করার সুযোগও পাচ্ছেন৷ ২০২৭ সালে থেকে এই ট্রেন চলবে টোকিও আর নাগোইয়ার মধ্যে ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার গতিতে৷
এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর দ্রুততম পন্থা
ট্রান্সব়্যাপিড শাংহাই বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম চালু ট্রেন৷ চলে ম্যাগনেটিক লেভিটেশনে ঘণ্টায় ৪৩০ কিলোমিটার গতিতে৷ শাংহাই থেকে এয়ারপোর্ট ৩০ কিলোমিটার পথ যায় ঠিক আট মিনিটে৷
ফ্রান্সের গৌরব
সব প্রথাগত ট্রেনের মধ্যে দ্রুততম হলো ফ্রান্সের টিজিভি বা হাই স্পিড ট্রেন৷ ১৯৮১ সাল থেকে চলেছে৷ সর্বাধুনিক মডেলটি হলো এজিভি, যা ২০০৭ সালে ঘণ্টায় ৫৭৪ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছায়৷ তবে সাধারণ টিজিভি চলে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে৷