রূপালি পর্দার বিখ্যাত ধূমপায়ীরা
হাতে সিগারেট, পরেরটি জ্বালানোর অপেক্ষা৷ ৫০-এর দশকে জেমস ডিন থেকে ডন ড্র্যাপার– এখানে থাকছে রূপালি পর্দার বিখ্যাত ধূমপায়ীদের কথা৷
সিগারেট মুখে বিদ্রোহী
জেমস ডিন তার সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে ছিলেন জনপ্রিয় তারকা৷ ১৯৫৫ সালে তার চলচ্চিত্র ‘রেবেল উইদাউট আ কজ–’ এ ঠোঁটের পাশে সিগারেট রেখে সেটা ফেলে দেয়ার ভঙ্গি এক বিদ্রোহীর চেতনার বহিঃপ্রকাশ৷ ৫০-এর দশকে ডিন ছিলেন হলিউডের অন্যতম ‘বদমায়েশ’৷
ঐ চোখে তাকিও না...
হামফ্রে বোগার্টের মতো এমন অবর্ণনীয় ভঙ্গিতে কেউ সিগারেট খেতে পারে না৷ ৫০-এর দশকে ‘দ্য ডেভিলস প্যাক্ট-’এ বেসরকারি গোয়েন্দার ভূমিকায় তাঁর অভিনয় ভক্ত ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল৷ এই সিনেমাটিকে সর্বকালের সেরা ‘ক্রাইম থ্রিলার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়৷
অভিজাত নারী
৬০-এর দশকে ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস’ ছিল গ্ল্যামারের আর এক নাম৷ অভিজাত নারীদের সিগারেট, হ্যাট, দস্তানা আর ছোট-কালো পোশাক ছিল আভিজাত্যের চিহ্ন৷ অড্রে হেপবার্ন যখন রূপালি পর্দা কাঁপাচ্ছিলেন, তখন ধূমপানের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ছিল৷ তাই সিনেমার পোস্টারেও অড্রে হেপবার্নের এই ছবিটি ছাপা হয়েছিল এবং তিনি এই ছবিটির মাধ্যমে হয়ে উঠেছিলেন তখনকার ফ্যাশন আইকন৷
মার্জিত, ভদ্র, যৌন আবেদনময়ী
খবরের কাগজ পড়া, গাড়ি চালানো, প্রেম করা বা সিরিয়াল কিলারের পেছনে ছোটা-ফরাসি অভিনেতা জ্যঁ-পল বেলমঁদো একজন চেইন স্মোকার, অর্থাৎ যিনি একটার পর একটা সিগারেট ধরান৷ ঠোঁটে যেভাবে সিগারেট ধরে রেখেছেন তিনি, এই ধরণটা তাকে আবেদনময় ধূমপায়ীতে পরিণত করেছিল ভক্তদের চোখে৷
অভিজাত ব্যক্তি
এক হাতে সিগারেট, অন্য হাতে বন্দুক আর কোলে বন্ড কন্যা– এটাই জেমস বন্ড৷ ২০০২ সালে বন্ড চলচ্চিত্রে বিশেষ ব্র্যান্ডের সিগারেট ব্যবহারের জন্য বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল বন্ড মুভিকে ঘিরে৷
যৌন আবেদনময়ী হাইস্কুল ছাত্রী
‘গ্রিজ’ চলচ্চিত্রে স্যান্ডির (অলিভিয়া নিউটন-জন) প্রাণের বন্ধু পিঙ্ক ল্যাডিস তাকে পরামর্শ দেন কীভাবে তিনি বয় ড্যানি’র মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন৷ ক্লাস নাইনের শিক্ষার্থীর বেশ, কিন্তু হাতে থাকা চাই সিগারেট৷ কেননা, সিগারেট ছাড়া স্যান্ডির মধ্যে অভিনবত্ব তো কিছু নেই৷
প্রলোভন দেখানো নারী
‘পাল্প ফিকশন’ চলচ্চিত্রে উমা থারম্যান মাফিয়া বস মার্সেলাস ওয়ালেসের মাদকাসক্ত স্ত্রী মিয়া’র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন৷ এখানে সিগারেট যৌনআবেদনময়ী এবং ভয়ঙ্কর দুই বিপরীতমুখী আচরণের বহিঃপ্রকাশ যেন৷
ম্যাড ম্যান
‘ম্যাড ম্যান’ ৬০-এর দশককে যেন আবারো পর্দায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিল৷ সেখানে ছিল সিগারেটসহ নানা উপাদান৷ তবে সেটে অভিনেতাদের কেবল ভেষজ সিগারেট ব্যবহারের অনুমতি ছিল৷