1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রিপাবলিকানদের অনুদান বন্ধ করছে বহু মার্কিন সংস্থা

১১ জানুয়ারি ২০২১

ক্যাপিটল ভবনে আক্রমণ এবং জো বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে না নেওয়ার জন্য রিপাবলিকান সেনেটরদের অনুদান বন্ধ করছে একাধিক মার্কিন সংস্থা।

https://p.dw.com/p/3nlTc
ক্যাপিটল
ছবি: Patrick Semansky/AP/picture alliance

ক্যাপিটলে হাঙ্গামার জের। রিপাবলিকান সাংসদদের অনুদান বন্ধ করে দিচ্ছে অ্যামেরিকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এর মধ্যে জেপি মর্গান, সিটি গ্রুপ, ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলি রয়েছে।

গত বুধবার ডনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব চালায়। গেট ভেঙে সেনেটের হলঘর পর্যন্ত পৌঁছে যায় তারা। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্যর অফিসে ঢুকে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়। যখন তারা এ ঘটনা ঘটায়, তখন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে সরকারি ভাবে জো বাইডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। হাঙ্গামার ফলে সাময়িক সময়ের জন্য অধিবেশন বন্ধ করেও রাখতে হয়। বেশ কয়েকজন সাংসদ আহত হন ঘটনায়।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ক্যাপিটলের বাইরে বের করার পরে ফের অধিবেশন বসে। সেখানে বাইডেনের বিপক্ষে দাঁড়ান বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সেনেটর। তাঁরা ট্রাম্পকে সমর্থন করে বলেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। ফলে বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে রাজি নন তাঁরা। বস্তুত, ৩ নভেম্বর নির্বাচনের পর থেকেই কারচুপির অভিযোগ করছেন ট্রাম্প। কিন্তু আদালতেও তিনি কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। অভিযোগ, বুধবার ট্রাম্পের বক্তৃতা শোনার পরেই ক্যাপিটলে অভিযান চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা।

ক্যাপিটলের উপর হামলার ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ অ্যামেরিকাবাসী। অধিকাংশেরই বক্তব্য এই হামলা আসলে গণতন্ত্রের উপর আঘাত। তারই প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থার উপর। যে সমস্ত সংস্থা রিপাবলিকান সেনেটরদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ ব্যয় করে, তারা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্পকে যে সেনেটররা সমর্থন করেছেন, তাঁদের আর অর্থ সাহায্য করা হবে না।

ব্লু ক্রস ব্লু শিল্ড অ্যাসোসিয়েশন অ্যামেরিকার সব চেয়ে বড় জীবন বীমা সংস্থা। প্রতি তিনজন অ্যামেরিকানের একজন এই বীমা সংস্থার গ্রাহক। বুধবারের ঘটনার পরে তারা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, ক্যাপিটলে যা ঘটেছে, তা অ্যামেরিকার গণতন্ত্রের উপর আঘাত। যারা সে ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের প্রতি নিন্দার ভাষা নেই। যে সেনেটররা ওই দিন বাইডেনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাঁরাও অ্যামেরিকার গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে অস্বীকার করেছেন। সে কারণেই তাঁদের আর অর্থ সাহায্য না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কার্যত একই বয়ান দিয়েছে জে পি মর্গান। তাদেরও বক্তব্য, নির্বাচন ব্যবস্থাকে যাঁরা মানেন না, তাঁদের অর্থ সাহায্য করার প্রশ্নই ওঠে না। বস্তুত, রিপাবলিকানদের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করে জে পি মর্গান। গত নির্বাচনেও তারা বহু রিপাবলিকান প্রার্থীর জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ক্যাপিটলে আঘাতের ঘটনা তারা মেনে নিতে রাজি হয়নি।

সিটি গ্রুপও একই কথা জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব চালানোর পর ট্রাম্প সমস্ত বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন ট্রাম্প সমর্থকেরাও। সামগ্রিক ভাবে এতে রিপাবলিকান পার্টির মস্ত ক্ষতি হয়েছে। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টরাও বুধবারের ঘটনার নিন্দা করেছেন। কিন্তু তাতেও রিপাবলিকান পার্টির ভাবমূর্তি অটুট থাকেনি। মানুষ রিপাবলিকানদের সঙ্গে দাঙ্গাকে জুড়ে দিচ্ছেন। বিভিন্ন সংস্থা মানুষের সেই ভাবাবেগ বুঝতে পারছে বলেই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)