রিকশাওয়ালা নয়, রিকশাওয়ালী
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান– এই তিন দেশে রিকশা এবং অটোরিকশা অল্প দূরত্বে যাতায়াতের অন্যতম বাহন৷ এসব চালানোয় এমনিতে পুরুষদেরই আধিপত্য৷ তবে বর্তমানে নারীরাও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসছেন৷
বাংলাদেশের নারী রিকশাচালক
চট্টগ্রামের মোসামাৎ জেসমিন মুসলিমপ্রধান একটি দেশে স্থাপন করেছেন এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত৷ পুরুষশাসিত সমাজে তিনি বেছে নিয়েছেন এমন এক পেশা, যা মূলত পুরুষের কাজ হিসেবেই বিবেচিত৷ পাঁচ বছর আগে রিকশা চালানো শুরু করেন জেসমিন৷
পাগলি খালা
স্থানীয়রা জেসমিনের নাম দিয়েছে ‘পাগলি খালা’৷ রিকশা চালানোর সময় তিনি মাথায় হেলমেটও পরেন৷ অন্য রিকশাওয়ালারা সচরাচর তা পরেন না৷ এলাকার মসজিদের ইমামও তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন৷ গড়ে তাঁর দৈনিক রোজগার আটশ’ টাকার মতো৷
নারী সওয়ারি, নারী চালক
ছায়া মোহিতে মুম্বইয়ের প্রথম দিকের নারী অটোরিকশা চালকদের মধ্যে অন্যতম৷ চলতি বছরের মার্চে তোলা ছবিটি তাঁকে প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় তোলা৷
নারীর ক্ষমতায়ন
নারীর ক্ষমতায়নের এক প্রকল্পের আওতায় বেশ কয়েকজন নারীকে অটোরিকশা চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ কেবল অটোরিকশা নয়, এখন ভারতের বেশ কয়েকজন নারী ট্যাক্সিও চালাচ্ছেন৷
পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
ভারতে অটো রিকশা, রিকশা বা ট্যাক্সি চালানো পুরুষের কাজ হিসেবেই গণ্য করা হয়৷ কিন্তু এখন এসব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসছেন৷
গোলাপি রিকশা
পাকিস্তানের লাহোরে একটি এনজিও ২০১৫ সালে ‘গোলাপি রিকশা’ চালু করে৷ এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো, নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি পুরুষ অটোচালকরা যাতে নারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করতে পারে সেটাও নিশ্চিত করা৷
ভালো উদ্যোগ
নারীদের নিরাপত্তার জন্য এই পদক্ষেপগুলোকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন পাকিস্তানের জনগণ৷ কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তারা, কেননা, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সব ধরনের পরিবহনেই নারীদের অংশগ্রহণ এখনও খুব একটা চোখে পড়ে না৷