1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাহুল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৭ জানুয়ারি ২০১৪

রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে না, তবে তিনি হবেন আসন্ন নির্বাচনি অভিযানে দলের প্রধান কাণ্ডারি৷ নতুন দিল্লিতে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির মহাসম্মেলনে এ প্রস্তাব রাখা হয়৷

https://p.dw.com/p/1Ashh
Indien Politik Rahul Gandhi
ছবি: picture-alliance/dpa

ভারতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পুত্র রাহুল গান্ধীকে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা নিয়ে পার্টির মধ্যে একটা দোলাচল ছিল৷ সেই ‘সাসপেন্স'-এ ইতি টেনে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির মহাসম্মেলনে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় যে, রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে না৷ তবে দলের নির্বাচনি অভিযানের মূল কাণ্ডারি হবেন তিনি৷ অর্থাৎ ব-কলমে তিনিই হবেন দেশের ভবিষ্যত, যদি কংগ্রেস সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্টতা পায়৷ রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না করায় দলের একাংশের মধ্যে কিছুটা আপত্তির সুর থাকলেও সোনিয়া গান্ধী তাতে কান দেননি৷

কিন্তু প্রশ্ন: রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলো না কেন? এর উত্তরে কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আগাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা কংগ্রেস পার্টির রীতি নয়৷ কিন্তু তাহলে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ড. মনমোহন সিং-এর নাম আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল কেন? সোনিয়া গান্ধীর জবাব, ড. সিং আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন, তাই৷

Indien Wahlkampf Rahul Gandhi
রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে নাছবি: picture-alliance/AP

কংগ্রেসের এই ঘোষণায় বিজেপির কটাক্ষ: যোগ্যতার দিক থেকে রাহুল যে মোদীর প্রতিপক্ষ নন, সেটাই এর মধ্য দিয়ে প্রতিপন্ন হলো৷

অতি সম্প্রতি চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ধরাশায়ী হবার পর, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিপক্ষ হিসেবে রাহুলের নাম বারবার উঠে আসছিল৷ ফলে মোদী বনাম রাহুলের তুল্যমূল্য বিচার শুরু হয় জনমানসে৷ উঠতে থাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলের নেতিবাচক দিকগুলি৷ বাড়তে থাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর জনপ্রিয়তার পাল্লা৷ এক সাপ্তাহিক পত্রিকার জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুলকে পেতে চায় ১৪ শতাংশ আর মোদীকে দেখতে চায় ৫৮ শতাংশ৷ কংগ্রেস বিজেপির সেই ফাঁদে পা দিতে চায় না৷ দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের আর মাত্র মাস চারেক বাকি৷ এই নির্বাচনে কংগ্রেস যদি হেরে যায়, তাহলে রাহুলের উঠতি রাজনৈতিক জীবন ছায়া পড়ুক সেটাও চায় না গান্ধী পরিবার৷ পরিবারতন্ত্রের তকমাটাও নিতে চায় না তারা৷

Indien Delhi Nationalist Congress Party Anhänger
সোনিয়া গান্ধীর হুংকার, ২০১৪ সালের ভোট হবে ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য লড়াইছবি: Reuters

রাহুলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বরাবরই নম্র ও লাজুক প্রকৃতির৷ তবে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সাহস আছে তাঁর৷ সেটা বেশ কয়েকবার দেখিয়েছেন তিনি৷ মনমোহন সিং সরকার যখন অভিযুক্ত সাংসদদের পদ হারানো থেকে বাঁচাতে অর্ডিন্যান্স আনতে চলেছিল, রাঙুলের তীব্র প্রতিবাদে তা বাতিল হোয়ে যায়৷ মুম্বইয়ে আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারির বিচার বিভাগীয় রিপোর্ট ধামাচাপা দিতে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস-জোট সরকারের চেষ্টা বানচাল করে দেন রাহুল৷ প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে রাহুলের বক্তব্য, কংগ্রেসের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, জনকল্যাণের নীতি ও দর্শনের৷

মহাঅধিবেশনের শুরুতে সোনিয়া গান্ধীর হুংকার, ২০১৪ সালের ভোট হবে ভারতের জন্য লড়াই, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য লড়াই৷ ধর্মীয় মৌলবাদে দেশের শান্তি ও সৌহার্দ বিপন্ন৷ বিজেপির দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, দেশে বিভেদের রাজনীতি করছে বিজেপি৷ তাই সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচনে তার মোকাবিলা করতে হবে৷ গত ১০ বছরে কংগ্রেস শাসনের সাফল্য তুলে ধরে সোনিয়া গান্ধী এটাও স্বীকার করেন যে, দেশের বহুমুখী উন্নতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আর্থিক বৈষম্য মেটেনি৷ তাই সাধারণ মানুষের মৌলিক প্রয়োজন এবার পূরণ করতেই হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য