রাস্তা বন্ধ করে পুজো
রাস্তা বন্ধ করে প্যান্ডেল বাঁধার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। তা সত্ত্বেও কলকাতার পুজোয় সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।
নির্দেশ অমান্য
প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, কোথাও রাস্তা আটকে পুজোর প্যান্ডেল করা যাবে না। কলকাতা-সহ রাজ্যের বহু জায়গায় রাস্তা দখল করে পুজো-প্যান্ডেল তৈরির কারণে যান চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হয়। পুজো কমিটিগুলিকেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ম মাফিক এমন নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নবান্নে অভিযোগ
রাস্তা আটকে প্যান্ডেল করার কারণে হয়রানির একাধিক অভিযোগ আগেও জমা পড়েছে নবান্নে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বছর তিনেক আগে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু কলকাতার বহু অঞ্চল ঘুরে দেখা গেল চিত্রটা বদলায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
শ্রীভূমির পুজোর উদ্বোধনে এসে ক্লাবের সভাপতি তথা রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মজার ছলেই রাস্তা বন্ধ নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ''সুজিত, আমার রাস্তা যেন বন্ধ না হয়। লোকে প্লেন ধরতে পারল না, এটা যেন না হয়।''
গাড়ি প্রবেশের অনুমতি নেই
দমদম পার্ক অঞ্চলের অবস্থাও পুজোর কটা দিন বেশ অসুবিধেজনক হয়ে ওঠে। এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় পুজো হয়। যে কারণে গাড়ি প্রবেশ করতেই দেয়া হয় না।
একডালিয়ার চাপ
দক্ষিণ কলকাতার এক হেভিওয়েট পুজো একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের পুজো। আশি বছরের এই পুজো এই রাস্তার ওপরেই হয়। প্যান্ডেল তৈরি শুরু হওয়ার পর থেকেই যানজট এই পথের প্রতিবছরের পরিচিত চিত্র। ঠিক পাশেই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়াদের যাতায়াতের অসুবিধে নিয়ে অধিকাংশ অভিভাবকদের অভিযোগও রয়েছে।
অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকারও জায়গা নেই
এই শহরে এমন বহু বড় বড় পুজো রয়েছে যেখানে দর্শনার্থীদের ভীড় স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সমস্যায় ফেলে। প্যান্ডেলের গেরোয় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার পরিসরটুকুও থাকে না।
দমকলের সমস্যা
এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই রাস্তা দখলের পুজোয় তাদের শুধু অসুবিধেই হয়না, তারা এই কদিন আতঙ্কেও থাকেন। এলাকায় যদি আগুন লাগে এই পথে দমকল পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবে না।