1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা নেতাদের ঐক্য

২৪ মার্চ ২০২২

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জি-সেভেন ও ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন৷ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর নিরাপত্তা ও জ্বালানির মতো ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের জন্য চাপ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/48xtN
ইইউ কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বাইডেন (ফাইল ছবি)ছবি: Evan Vucci/AP Photo/picture alliance

ইইউ, জি-সেভেন ও ন্যাটোর মতো রাষ্ট্রজোটের প্রাসঙ্গিকতা ও ঐক্যের অভাব নিয়ে কিছুদিন আগে পর্যন্তও নানা সংশয় দেখা যেত, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর নিন্দুকেরা পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে৷ তিন রাষ্ট্রজোটই অভূতপূর্ব ঐক্য দেখিয়ে দ্রুত একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং আরও খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কায় প্রস্তুতি চালাচ্ছে৷ অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের মধ্যে ঐক্যও ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলের অনিশ্চয়তা দূর করতে পেরেছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার ইইউ, জি-সেভেন ও ন্যাটোর জরুরি শীর্ষ সম্মেলন ও সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপস্থিতি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিও ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ন্যাটো ও ইইউ-র শীর্ষ নেতাদের কাছে বক্তব্য রাখছেন৷

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার সূচনার ঠিক এক মাস পর ব্রাসেলসে মিলিত হচ্ছেন দুই জোটের শীর্ষ নেতারা৷ আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বিরুদ্ধে আরও কড়া শাস্তি, ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তা এবং ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা আরও জোরালো করার মতো বিষয়গুলিই প্রাধান্য পাচ্ছে৷ বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর স্থায়ী সামরিক তৎপরতার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে৷ এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়া লঙ্ঘন করা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন চরম পদক্ষেপের জন্য চাপ বাড়ছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে পারেন৷

আপাতত রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রুমেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় চারটি নতুন ‘ব্যাটল গ্রুপ’ মোতায়েনের ঘোষণা করেছেন৷ তবে ইউক্রেনের দাবি মেনে সে দেশের উপর ‘নো ফ্লাই জোন’ কার্যকর করতে এখনো নারাজ এই রাষ্ট্রজোট৷ সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাত এখনো এড়িয়ে চলতে চায় ন্যাটো৷ তবে বাইডেনের আশঙ্কা, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে৷ এমনকি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না মস্কো৷ ফলে ন্যাটোকে শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মোকাবিলা করতেই হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক মুখপাত্র৷

রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে৷ বিশেষ করে গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের মতো জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার প্রশ্নে জার্মানির মতো দেশ এখনো এমন চরম পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নয়৷ রাতারাতি এমন সিদ্ধান্ত নিলে জার্মানি তথা  ইউরোপের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছে ওলাফ শলৎসের সরকার৷ ধাপে ধাপে সেই দিশায় অগ্রসর হতে চায় জার্মানি৷ অন্যদিকে ইউক্রেন, অ্যামেরিকা ও মূলত পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি পুটিনের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই উৎস বন্ধ করে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ একমাত্র এভাবেই রাশিয়ার অর্থনীতিকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে পুটিনের ক্ষমতা খর্ব করা সম্ভব বলে তারা মনে করে৷ স্পেন, পর্তুগাল, ইটালি ও গ্রিস জ্বালানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরতাকমাতে জরুরি ভিত্তিতে ইউরোপীয় স্তরে সমন্বয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ এ ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তারও আশা করছে ইইউ৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)