রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
গোলাপি ড্রেসে রানি, মাথায় গোলাপি টুপি৷ নীল ড্রেস হলে নীল টুপি৷ সবুজ ড্রেস হলে টুপিও সবুজ৷ রানিকে আমরা এভাবেই চিনি৷ কিন্তু সেটা চিরকালই এ রকম ছিল না৷ রানির অবশ্য নিজস্ব স্টাইল তৈরি হতে বহুদিন সময় লেগেছে...
সবসময় ম্যাচিং
রানি এলিজাবেথের সাজগোজ প্রায় কিংবদন্তি৷ ড্রেস-এর সঙ্গে ম্যাচ করা হ্যাট বা টুপি, গাউনের হেমলাইন ওজন দিয়ে ভারি করা, যা-তে বাতাসে কোনোরকম লজ্জাকর পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয়৷ তারপর হাতের বটুয়াটি: হ্যান্ডব্যাগের আকার সবসময় এক; রং, কালো; সাইজ এমন যে, তা-তে রানির লিপস্টিক, চশমা, মিন্ট লজেন্স আর হাতরুমাল ধরে৷ দুনিয়া রানি এলিজাবেথকে এভাবেই গত ষাট বছর ধরে দেখে আসছে৷
উর্দিধারী রাজকন্যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এলিজাবেথ উইন্ডসর ছিলেন অক্সিলিয়ারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের সদস্য৷ ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মহিলা ডিভিশন ছিল এই এটিএস৷ এলিজাবেথ মেকানিকের কাজ শেখেন, ট্রাক চালাতে শেখেন৷ ছবিটি ১৯৪৫ সালের – এখানেও মাথায় টুপি!
বিয়ের ‘বেনারসি’
যুদ্ধ শেষ হবার দু’বছর পরে এলিজাবেথ তাঁর ছেলেবেলার প্রেম প্রিন্স ফিলিপ অফ গ্রিস অ্যান্ড ডেনমার্ককে বিয়ে করেন৷ যুদ্ধের পর তখন ব্রিটেনে রেশন ব্যবস্থা চলেছে৷ রাজকন্যার বিয়ের পোশাকের জন্য সেরকম ভালো মালমশলা পাওয়াই কঠিন৷ তা সত্ত্বেও স্যাটিন ড্রেসটিতে দশ হাজার মুক্তো আর অন্যান্য ক্রিস্টাল বা পাথর বসানো ছিল, লেসের ‘ট্রেন’ বা ঝালরের দৈর্ঘ ছিল পাক্কা ১৩ ফুট৷
করোনেশন গাউন
১৯৫৩ সালের ২রা জুন প্রিন্সেস এলিজাবেথের অভিষেক৷ অনুষ্ঠানে তিনি একটি সাদা সিল্কের ড্রেস পরেছিলেন, তার ওপর কমনওয়েল্থ-এর এমব্লেম এমব্রয়ডারি করা ছিল৷ ১৬ ফুট লম্বা মখমলের কেপটি বহন করার দায়িত্ব ছিল ছ’জন ‘মেইড অফ অনার’-এর ওপর৷
পশ্চিম জার্মানিতে প্রথম সফর
সাংবাদিকরা নাম দিয়েছিলেন ‘শতাব্দীর সফর’৷ পশ্চিম জার্মানি পরম উচ্ছ্বাসে স্বাগত জানায় ইংল্যান্ডের রানিকে – সময়টা ছিল ১৯৬৫ সালের মে মাস৷ ৫৬ বছর এবং দু’টি বিশ্বযুদ্ধের পর আবার ব্রিটেনের একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির জার্মানিতে পদার্পণ৷ রানি এলিজাবেথ তাঁর ১১ দিনের সফরে ১৮টি শহর পরিদর্শন করেন৷
দ্বিতীয় সফর
রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে আসেন ১৯৭৮ সালে৷ এবার তাঁর সফর যেন সহজ, স্বাভাবিক বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যা-তে তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট ভাল্টার শেল-এর অবদানও কিছু কম ছিল না৷
আটপৌরে
রানি যখন রাষ্ট্রীয় সফরে যান না কিংবা ব্রিটিশ সংসদের অধিবেশন উদ্বোধন করেন না, তখন তিনি হ্যাটের পরিবর্তে মাথায় রুমাল বাঁধাই পছন্দ করেন৷ রানি যেন হঠাৎ খোশমেজাজের দাদিতে পরিণত হন! ছবিটি তোলা ২০১২ সালে৷