1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্ত ব্যাংকক

৫ ডিসেম্বর ২০১৩

প্রায় ৬৮ বছর ধরে থাইল্যান্ডের রাজা তিনি৷ তাই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাজ সিংহাসনের অধিকারী হওয়ার রেকর্ডটি তাঁর৷ অনেক থাইবাসীর কাছে তিনি অনেকটা দেবতার মতো৷ তাইতো বৃহস্পতিবার তাঁর জন্মদিনে শান্ত ব্যাংকক৷

https://p.dw.com/p/1ATLg
ছবি: Reuters

বলা হচ্ছে রাজা ভূমিবলের কথা৷ তবে থাই ভাষায় উচ্চারণটা হবে ‘বুমিপন'৷ সঙ্গে শেষ নাম আদুনইয়াডেট৷ অর্থাৎ পুরো নাম বুমিপন আদুনইয়াডেট৷ বৃহস্পতিবার তাঁর ৮৬তম জন্মদিন৷ তাই রাজার প্রতি সম্মান জানাতে এদিন কোনো বিক্ষোভ কর্মসূচি রাখেনি সরকার বিরোধীরা৷ বরং ব্যাংককের যে স্থান থেকে এতদিন উত্তপ্ত বক্তব্য রাখছিলেন বিরোধী নেতারা সেখানে টাঙানো হয় রাজার ছবি৷ পাশে ছিল বড় স্ক্রিন৷ তাতে জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া রাজার ভাষণ দেখানো হয়৷ স্ক্রিনে যখন রাজার ছবি ভেসে আসছিল তখন বিরোধীরা আনন্দে মেতে উঠেছেন৷ আর মাঝেমধ্যে যখন থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ছবি দেখা যাচ্ছিল তখন বিরোধীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে৷ উল্লেখ্য, রাজার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সহ বিরোধী নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানরা৷ সেখান থেকেই রাজা ভাষণ দিয়েছেন৷

রাজা বুমিপন তাঁর বক্তব্যে চলমান বিক্ষোভের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে সব থাই নাগরিককে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘সবাই এক হয়ে কাজ করার কারণে দেশ অনেকদিন শান্ত ছিল৷ প্রত্যেক নাগরিকের উচিত এই বিষয়টা উপলব্ধি করা এবং দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার খাতিরে যার যার দায়িত্ব পালন করা৷''

Thailand Bangkok Geburtstag König Bhumibol
রাজার প্রতি সম্মান জানাতে কোনো বিক্ষোভ কর্মসূচি রাখেনি সরকার বিরোধীরাছবি: Getty Images

কিন্তু রাজার এই আহ্বান কতটা কাজে দেবে তা বলা মুশকিল৷ কেননা ইতিমধ্যে সরকার বিরোধীরা জানিয়ে দিয়েছে যে, শুক্রবার থেকে তারা আবার বিক্ষোভে ফিরে যাবে৷ মাথায় ‘লং লিভ দ্য কিং' লেখা ব্যান্ড পরে থাকা খিও নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘আমরা আবার কাল (শুক্রবার) বিক্ষোভ করবো৷ থাই জনগণের জন্য বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে৷''

যেভাবে শুরু

দেশ ছেড়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ফিরিয়ে আনতে গত ১ নভেম্বর থাই সরকার তাঁর (থাকসিন) বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার পরই শুরু হয় বিক্ষোভ৷ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার পর এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর দেশ ছেড়ে যান থাকসিন সিনাওয়াত্রা৷ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগে মামলা হয়েছে৷

বিক্ষোভকারীদের দাবি, থাকসিনের বোন ইংলাক প্রধানমন্ত্রী হয়ে বড় ভাইয়ের মতোই দেশ চালাচ্ছেন, সুতরাং ইংলাককে পদত্যাগ করতে হবে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য