রহস্যময় আফগানিস্তান আর জেরবার অ্যামেরিকা
২৭ জুন ২০১০রহস্যময় এক যুদ্ধস্থল আফগানিস্তান এমন এক দেশ যার রাজনৈতিক মেকানিজমটা বাইরে থেকে বোঝা দূরূহ এবং যার উপর প্রভাব খাটানো প্রায় অসম্ভব, মনে করে দৈনিক ‘স্যুদডয়চে সাইটুং'৷ মিউনিখ থেকে প্রকাশিত এই জার্মান দৈনিক লিখছে: আফগানিস্তান নিয়ে বিশেষ সমস্যা ভোগ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ অ্যামেরিকা সোভিয়েত দখলদারির সময় এবং তারপর এই দেশটিকে ভূরাজনৈতিক কৌশলের এক গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হিসেবেই দেখেছে৷ আফগানিস্তান তাদের কাছে রুশ সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত-পীড়িত উপমহাদেশে সেতুবন্ধ ও স্থিতিস্থাপক, জ্বালানি সমৃদ্ধ মধ্য এশিয়ায় প্রবেশাধিকার পাওয়ার এক অগ্রবর্তী ঘাঁটি এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চীনের সব রকমের আধিপত্যবাদী বাসনা সম্পর্কে নিজেদের সতর্ক রাখার জায়গা৷ এই সব লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে৷ কিন্তু তার আগে সবচেয়ে কঠিন কাজটি সম্পন্ন করতে হবে৷ এবং তা হল আফগানিস্তানকে নির্ভরযোগ্য করা, ঐ দেশে স্থিতি গড়ে তোলা৷ এ পর্যন্ত কোন বিদেশি শক্তিই সে-কাজে সফল হতে পারে নি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই কাজের ব্যাপকতাটাকে লঘু করে দেখেছে৷
ভারত সহ উপমহাদেশের দেশগুলিতে যে মেয়ের রং ফর্সা তাকেই সুন্দরী বলে ধরা হয়ে থাকে, মন্তব্য করেছে সুইজারল্যান্ডের জার্মানভাষী দৈনিক ‘নয় স্যুরশার সাইটুং'৷ মুখ আর শরীরের রং উজ্জ্বল করার নানা কসমেটিক উপকরণ তাই উপমহাদেশে খুবই জনপ্রিয়৷ জনমত সমীক্ষা থেকে জানা যায়, আর্থিক সঙ্গতি আছে এমন ভারতীয় নারীদের ৯০ শতাংশই আজ ব্যবহার করেন মুখ আর দেহের রং ফর্সা করার নানাবিধ ক্রিম, তেল, টনিক ও আরও অনেক কিছু৷ নয় স্যুরশার সাইটুং লিখছে: ভারতে দেহের রং ময়লা যাদের তারা প্রতিদিন বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে৷ শুধু মেয়েরা নয়, পুরুষরাও৷ ফর্সা রং যাদের তারা বেশি সম্মান পায়, চাকরি পেয়ে যায় সহজে এবং বিয়েও হয় তাদের সহজে৷ ভারতের পত্রপত্রিকার ‘পাত্র বা পাত্রী চাই' বিজ্ঞাপনগুলোর উপর একবার চোখ বুলালেই বোঝা যাবে যে, জাতপাতের পাশাপাশি গায়ের রং জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি৷
প্রতিবেদন: আবদুল্লাহ আল ফারূক
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
: