রক্তচোষা সব ভ্যাম্পায়াররা
ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা মানুষরূপীদের নিয়ে কল্পকাহিনীর শেষ নেই৷ হলিউডেও আছে মাতামাতি৷ তাদের হিংস্রতা, প্রেম সবকিছু নিয়েই চলচ্চিত্র হয়েছে৷ তেমনই সেরা কিছু চলচ্চিত্র নিয়ে এই ছবিঘর৷ তালিকাটি বিনোদন পত্রিকা কলাইডারের৷
১০. শ্যাডো অফ দ্য ভ্যাম্পায়ার (২০০০)
ভ্যাম্পায়ার ফিল্ম বলতে ১৯২২ সালের এফ ডাব্লিউ মুর্নাউয়ের চলচ্চিত্র নসফেরাটু’কে এখনো যদিও কেউ অতিক্রম করতে পারেনি, তারপরও শ্যাডো অফ দ্য ভ্যাম্পায়ারও বেশ সমাদৃত হয়েছে৷
৯. ব্রাম স্টোকার’স ড্রাকুলা (১৯৯২)
১৮৯৭ সালে প্রকাশিত ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা’র ওপর ভিত্তি করতে নির্মিত ফ্রান্সিস ফোর্ড কোপোলা প্রযোজিত এই ছবিটিতে কাউন্ট ড্রাকুলার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গ্যারি ওল্ডম্যান৷ এছাড়া মিনা হার্কার, অ্যান্থনি হপকিন্স ও কিয়ানু রিভস অভিনীত এই ছবিটির বাজেট ছিল ৪ কোটি মার্কিন ডলার৷ আয় করেছে ২১.৫ কোটি ডলার৷
৮. ব্লেড ২ (২০০২)
এই অ্যামেরিকান সুপারহিরো মুভিটি ব্লেড সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব৷ মার্ভেল কমিক্স থেকে নেয়া এই চরিত্রটি নিয়ে তৈরি দু’টি ছবিই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে৷ বিশেষ করে দ্বিতীয়টি ছাড়িয়ে গেছে প্রথমটিকেও৷ গুইলের্মে দেল তোরো নির্মিত এই ছবিটি আয় করেছে ১৫.৫ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি৷
৭. দ্য অ্যাডিকশন (১৯৯৫)
দ্য অ্যাডিকশন একটি অ্যামেরিকান ভ্যাম্পায়ার মুভি৷ মার্কিন পরিচালক আবেল ফেরারা মাদকাসক্তি ও পাপের আধ্যাত্মিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে ছবিটি তৈরি করেছেন৷
৬. অনলি লাভার্স লেট অ্যালাইভ (২০১৩)
এই ভ্যাম্পায়ার ছবিটি মার্কিন পরিচালক জিম জার্মুশ বানিয়েছেন ২০১৩ সালে৷ এটি যুক্তরাজ্য ও জার্মানির একটি যৌথ প্রযোজনার ছবি৷ সমালোচকরা একে ২০০০ সালের পর থেকে নির্মিত সেরা ১০০ চলচ্চিত্রের একটি হিসেবে রায় দিয়েছেন৷
৫. নসফেরাটু, দ্য ভ্যাম্পায়ার (১৯৭৯)
পশ্চিম জার্মানির চলচ্চিত্র এটি৷ মুর্নাউয়ের নসফেরাটু’র রিমেক ফিল্ম এটি৷ জার্মান পরিচালক ভের্নার হের্সগের এই চলচ্চিত্রটি দর্শক ও সমালোচক সবার কাছেই প্রশংসিত হয়েছে৷ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জার্মান ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই অভিনয় করেছেন৷
৪. নিয়ার ডার্ক (১৯৮৭)
এটি একটি ওয়েস্টার্ন ভ্যাম্পায়ার মুভি৷ পরিচালক ক্যাথরিন বিগেলো একজন তরুণের গল্প বলেছেন, যে তরুণ একটি নোমাডিক অ্যামেরিকান ভ্যাম্পায়ার পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন৷
৩. ড্রাকুলা (১৯৩১)
ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা উপন্যাসের ওপর নির্ভর করে বানানো এই ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল৷ ১৯২৪ সালে ড্রাকুলা’র একটি মঞ্চ নাটক থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ছবিটি নির্মাণ করেন টড ব্রাউনিং৷
২. লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন (২০০৮)
এটি একটি সুইডিশ ছবি৷ নির্মাণ করেছেন সুইডিশ পরিচালক টমাস আলফ্রেডসন৷ একটি ভ্যাম্পায়ার শিশুর সঙ্গে ১২ বছর বয়সি এক বালকের বন্ধুত্বের ওপর নির্ভর করে বানানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি৷
১. নসফেরাটু, আ সিম্ফনি অফ হরর (১৯২২)
ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা উপন্যাসটির ওপর নির্মিত এই ছবিটিকে সিনেমা জগতের সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী মাস্টারপিস বলা হয়৷ ছবিটি অবশ্য স্টোকারের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল, এবং উপন্যাসের চরিত্রগুলোর নাম সিনেমায় বদলে দেয়া হয়েছিল৷ পরে স্টোকারের উত্তরসূরিরা মামলা করে দিলে ছবিটির সব প্রিন্ট ধ্বংস করে ফেলার রায় দেন আদালত৷ কিন্তু তারপরও দু’একটি প্রিন্ট বেঁচে যায়৷