যে সুন্দরী প্রেসিডেন্টের জন্য অনেকেই ‘পাগল’
ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট তিনি৷ তবে প্রেসিডেন্ট হবার আগে থেকেই কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বাড়তি মনযোগে৷ তাঁর যৌন আবেদনময় সুন্দর চেহারার জন্য এখনো অনেকেই ‘পাগল’৷
ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি এখন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ অবশ্য শুধু এইটুকু বললে তাঁর কৃতিত্ব আসলে বোঝানো হয় না৷ দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তিনি!
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার
২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক মন্ত্রী ছিলেন কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷ তারপর ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ ২০১১ থেকে ২০১৪ – এই তিন বছর প্রথম নারী হিসেবে ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সি কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷
দেশের ক্ষমতার শীর্ষে
২০১৫ সালের ডিসেম্বরেই ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷ তখনকার বিরোধী দলীয় ‘প্যাট্রিয়টিক কোয়ালিশন’, অর্থাৎ ‘দেশপ্রেমিক জোট’-এর সদস্যরা নির্বাচনে জয় লাভের পর তাঁকেই বেছে নেয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে৷ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি৷
দুর্নিবার আকর্ষণ
এক মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশেষ কিছু করে সবার মন জয় করা প্রায় অসম্ভব৷ তবে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তাঁর মোহনীয় রূপ এবং আকর্ষণীয় দেহবল্লরির সুবাদে দেশের সীমানার বাইরেও কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন৷ তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে নাকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ক্রোয়েশিয়ার নাগরিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন!
পর্ন তারকা এবং ভুল
কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া জাগিয়েছিল কয়েকটি ছবি৷ বিকিনি পরা অনিন্দ্য সুন্দরীর ছবি দেখে সবাই ‘শেয়ার’ করা শুরু করলেন৷ পত্র-পত্রিকায় লেখা শুরু হয়ে গেল, ‘‘প্রেসিডেন্ট হয়েও বিকিনি পরে সমুদ্র অবগাহন করেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট!’’ অনেক পরে জানা গেল, ছবির সুন্দরীকে হুবহু কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচের দেখালেও তিনি আসলে একজন পর্ন তারকা! ওপরের ছবিতে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে কোলিন্ডা৷