যে বিমানবন্দর আপনাকে মুগ্ধ করবে
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত৷ ২০১৮ সালে এই বিমানবন্দরে নতুন একটি টার্মিনাল যুক্ত হবে, যার ফলে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বিমানবন্দরটি৷ ছবিঘরে দেখুন৷
গ্রিন এয়ারপোর্ট
কংক্রিটের মেঝে আর কাঁচের বিশাল বিশাল জানালা৷ বিশ্বের বেশিরভাগ বিমানবন্দরই অনেকটা এরকম৷ কিন্তু জুয়েল চাঙ্গি বিমানবন্দর এই চিরাচরিত চেহারাকে বদলে দিতে চলেছে৷ ২০১৮ সালে এই বিমানবন্দরের কাজ শেষ হবে এবং ২০১৯ সালে চালু হবে নতুন একটি ‘গ্রিন এয়ারপোর্ট’৷
প্রাকৃতিক পরিবেশের আমেজ
টার্মিনালের আকৃতি অনেকটা বন্ধ স্টেডিয়ামের মতো৷ এই বিমানবন্দরের ভেতরে থাকে লাখো গাছপালা৷ এমনকি এয়ারপোর্টের ভেতরে একটি কৃত্রিম ঝর্ণাও আছে৷ ১০ তলা বিমানবন্দরের ভেতর প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি শিশুদের জন্য থাকবে পার্ক৷ তার সঙ্গে হোটেল আর শপিং মল তো থাকছেই৷
মানুষের মনকে যা প্রফুল্ল করবে
চাঙ্গি এয়ারপোর্ট গ্রুপের মুখপাত্র রবিন গোহ বলেছেন, ‘‘আমরা এমন একটা বিমানবন্দর বানানোর পরিকল্পনা করছি, যেখানে খোলা জায়গায় যা যা করা সম্ভব, সেসব করা যাবে৷’’ ঝর্ণার পানির আওয়াজ বিমানবন্দরের মানুষের মনকে প্রফুল্ল করবে বলে আশা করছেন তিনি৷
সবচেয়ে বড় কৃত্রিম ঝর্ণা
কৃত্রিম ঝর্ণাটির দৈর্ঘ্য হবে ৪০ মিটার৷ অর্থাৎ এটি বিশ্বের যে কোনো কৃত্রিম ঝর্ণার চাইতে বড় হবে৷ এর আশেপাশে থাকবে রেস্তোরাঁ আর বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা৷
লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো
ঝর্ণার জলধারায় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’ নতুন নয়৷ সিঙ্গাপুরের জুয়েল চাঙ্গি বিমানবন্দরেও থাকছে এরকম একটা শো৷ অর্থাৎ রাতেরবেলায় বিশালাকার ঐ কৃত্রিম ঝর্ণাতে দেখা যাবে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’৷ ইসরায়েলের স্থপতি মোশে সাফদী এমন ঝর্ণা তৈরি করে ইতিমধ্যেই অনেক পুরস্কার পেয়েছেন৷
বিমানবন্দরের ভেতর নদী-নালা
ঝর্ণা ছাড়া বিমানবন্দরের ভেতর ছোট ছোট নদী বা নালার মতো বয়ে যাবে৷ জুয়েল চাঙ্গি আসলে একটি নতুন টার্মিনাল, যেটা চাঙ্গি বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের পুরোনো পাকিং এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে৷ তবে অন্য পুরোনো টার্মিনালগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকবে এটি৷
বিশ্ব দরবারে নিজেদের দৃষ্টান্ত তুলে ধরবে জুয়েল চাঙ্গি
গার্ডেন সিটি হিসেবে অনেক আগে থেকেই নিজের পরিচয় বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে সিঙ্গাপুর৷ তাদের বিশ্বাস, নতুন এই টার্মিনালের কারণে বিশ্বের বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে তারা৷