যে ‘ফলের ঠোঙা’ প্রবীণদের আনন্দ দেয়
জার্মানিতে অনেক প্রবীণ দারিদ্র্য ও একাকীত্বের শিকার৷ আর তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটাতেই ফলের ঠোঙা নিয়ে এগিয়ে এসেছে এক দল তরুণ৷ দলটি এরই মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলরের কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছে৷
মাসের শেষ শনিবার আনন্দের দিন
কিছু প্রবীণের জন্য মাসের শেষ শনিবার খুবই আনন্দের দিন, কারণ সেদিন ‘ফলের ঠোঙা’ নামের স্বেচ্ছাসেবী তরুণ গ্রুপ থেকে কেউ না কেউ ফলের ঠোঙা নিয়ে হাজির হয় তাঁদের দরজায়৷ যা পেয়ে তাঁরা খুব আনন্দিত হন-একথা জানান গ্রুপের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কারিনা রাডাটস৷
৭০ সদস্য নিয়ে ফলের ঠোঙা ক্লাব
দরিদ্র ও নিঃসঙ্গ প্রবীণদের সাহায্য করার লক্ষ্যে ‘ফলের ঠোঙা’ ক্লাবটি গঠিত হয় তিন বছর আগে৷ যার সুবিধা পাচ্ছে এখন শুধু জার্মানির হেনেফ শহরের প্রবীণেরাই আর তাঁদের সংখ্যা বর্তমানে ৮৬জন৷
৭০ সদস্য নিয়ে ফলের ঠোঙা ক্লাব
দরিদ্র ও নিঃসঙ্গ প্রবীণদের সাহায্য করার লক্ষ্যে ‘ফলের ঠোঙা’ ক্লাবটি গঠিত হয় তিন বছর আগে৷ যার সুবিধা পাচ্ছে এখন শুধু জার্মানির হেনেফ শহরের প্রবীণেরাই আর তাঁদের সংখ্যা বর্তমানে ৮৬জন৷
প্রবীণদের দারিদ্র্য
জার্মানিতে প্রতি পাঁচজনের একজন অবসরপ্রাপ্ত নাগরিক দারিদ্র্যের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, জার্মানির দারিদ্র্য গবেষক ও কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্বিজ্ঞানের সাবেক প্রফেসর ক্রিস্টোফ বুটারভেগে৷
যাদের ফলের ঠোঙার প্রয়োজন
জার্মানিতে ১৭ লাখের বেশি মানুষ পেনশনভোগী আর তাঁদের প্রতি পাঁচজনের একজনই দারিদ্রের ঝুঁকিতে৷ আর এদের সংখ্যা জার্মানিতে তিন মিলিয়নেরও বেশি৷ অর্থাৎ ৩০ লাখের বেশি মানুষের ফলের ঠোঙার সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে৷
‘ফলের ঠোঙা’ যেভাবে শুরু
‘‘আমি যখন কোলন শহরের কেন্দ্রস্থলে ছিলাম তখন এক বৃদ্ধা মহিলাকে আবর্জনা থেকে বোতল সংগ্রহ করার দৃশ্য আমার খুব খারাপ লেগেছিলো ৷ সেখান থেকেই আসলে দরিদ্র ও অসহায় প্রবীণদের সাহায্য করার চিন্তাটা আমার মাথায় আসে৷’’ বলেন কারিনা রাডাটস৷
‘ফলের ঠোঙা’
জার্মানিতে সমাজ কল্যাণমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রকল্পকে পুরষ্কৃত করা হয়ে থাকে৷ ‘ফলের ঠোঙা’ প্রকল্পটি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কাছ থেকে সম্প্রতি পুরস্কার পেয়েছে৷ তবে এই তরুণ দলের আশা আগামীতে তাদের প্রকল্পের কাজ আরো বাড়িয়ে কোলন ও বনের প্রবীণদেরও সাহায্যে আওতায় আনা৷