যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
কাবুলের পুল-ই-চরখি কারাগারে কয়েকদিন আগেও আটকে রাখা হতো তালেবান সেনাদের৷ ছোট ছোট খুপড়ির মতো ঘরগুলো এখন ফাঁকা পড়ে আছে৷ কী অবস্থায় থাকতে হতো তালেবান সেনাদের? দেখুন ছবিঘরে...
দর্শক তালেবান
রাজধানী কাবুল থেকে একটু দূরে পুল-ই চরখি কারাগার৷ এক মাস আগে এখানে গাদাগাদি করে থাকতে হতো আফগান এবং বিদেশি সৈন্যদের হাতে আটক তালেবান যোদ্ধাদের৷ এখন ছবির এই তালেবান সেনার মতো কেউ কেউ দেখতে যান সেই কারাগার৷
যেমন ছিল শোয়ার ব্যবস্থা
পুল-ই চরখির একটা সেল৷ এভাবে ওপরে, নীচে শোয়ার ব্যবস্থা ছিল কারাবন্দিদের৷ তালেবান আফগানিস্তানের দখল নেয়ার আগেই অবশ্য বন্দিদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়৷
পড়ার সুযোগ
একটি সেল ঘুরে দেখছেন এক তালেবান সদস্য৷ সব সেলই এখন ফাঁকা৷ ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়৷ তালেবানের শর্ত দেয়া হয় আগে বন্দি সহযোদ্ধাদের মুক্তি দেয়া শুরু করতে হবে৷ সেই শর্ত মেনে প্রথমে ৪০০ জনকে মুক্তি দেয়া হয়৷ তালেবান ফিরে এসে সব বন্দিকে মুক্তি দেয়৷ একসময় ছবির এই সেলে বই পড়তেতেন কোনো কোনো তালেবান সেনা৷
নোংরা, অগোছালো
কারাগার ঘুরে দেখছেন এক তালেবান সদস্য৷ ক্যামেরায় ধরা পড়া পুরো জায়গাটাই অপরিচ্ছন্ন, অগোছালো৷
আইএস-এর পতাকা
একটা বইয়ের ওপরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পতাকার ছবি৷ বোঝাই যায়, আইএস যোদ্ধা বা তাদের অনুসারীদেরও আটক করে রাখা হতো পুল-ই চরখিতে৷
মামলার নথি
এই ঘরে রাখা হতো কারাবন্দিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্র৷ সেসবের কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে ডানদিকের আলমারির ওপরে৷
হাতকড়া
একটা সেলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কিছু হাতকড়া৷ তালেবান শাসকেরা পুল-ই চরখিকে কারাগার হিসেবেই ব্যবহার করলে আগামীতে এই হাতকড়া পরানো হবে নতুন বন্দিদের৷
আফগানিস্তানের পতাকা
এখানে হয়ত কাজ করতেন আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কোনো সেনা সদস্য বা কোনো কারা কর্মকর্তা৷ তাই টেবিলের ওপরে এখনো দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা৷
বিশাল এক শূন্য কারাগার
বিশাল এক শূন্য কারাগার পুল-ই চরখির এক পাশের সুবিস্তৃত প্রাচীর৷ প্রাচীরের ভেতরে রয়েছে কারাভবন৷ ভবনের সব কক্ষের দরজাই এখন খোলা, কোনো কারাবন্দি নেই সেখানে৷