1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে কারণে ফেসবুক ছাড়া চলে না

২২ মার্চ ২০১০

আপনি তরুণ, যুবা বা বৃদ্ধ যাই হন না কেন, ফেসবুক ছাড়া কিন্তু চলবে না৷ অধিকাংশ মানুষ কম্পিউটারের সামনে বসে প্রথমে যে সাইটটিতে যায়, সেটিও ফেসবুক৷ আর তাই ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সম্প্রতি ছাড়িয়ে গেছে গুগলকেও৷

https://p.dw.com/p/MZ4N
ফাইল ফটো

কেনই বা এত ফেসবুকিং? প্রথমেই ধরুন আপনার নিত্যদিনের বৈঠক কিংবা জরুরি সাক্ষাতের কথা৷ এই ডায়েরিতে লিখে রাখো, নাহয় কাগজে লিখে মানিব্যাগে ভরো অথবা মোবাইলে টুকে রাখো৷ এত ঝামেলার কি দরকার বলুন? তার চেয়ে ফেসবুকইতো ভালো৷ সেখানে ইভেন্টস এর তালিকায় ঢুকিয়ে দিন আপনার গুরুত্বপূর্ণ সব মিটিং বা প্রোগ্রামের তালিকা৷ তারপর নিয়মিত ফেসবুকিং এর সময় আপনা থেকেই জানান দেবে তা৷ শুধু কি তাই, জন্মদিনের পার্টি উপলক্ষ্যে আগে অনেকে হাতে তৈরি কার্ড পাঠাতো বন্ধুদের৷ দেখা গেলো যেদিন পার্টি সেদিন আর সেই কার্ডের কথা মনে নেই তাদের৷ ফলে পার্টিতে কেউ নেই৷ অথচ ফেসবুকেই যদি নেমন্তন্ন করে রাখেন, তাহলে ফেসবুক নিয়মিতই আপনার বন্ধুদের মনে করিয়ে দেবে সেকথা৷

ফেসবুক কিন্তু সম্পর্কের ধারাও বদলে দিচ্ছে৷ এই যেমন আগে দেখা যেত, কারো সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বাড়িতে দৌড়াতে হতো কিংবা পার্টিতে দেখা করতে বারে বারে খুঁজতে হতো৷ একবার দেখা হলো তো পাঁচ মাস আর খবর নেই৷ এখন কিন্তু তেমনটা নেই আর৷ কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব চাও কিংবা কাছেপিঠে ধরে রাখতে চাওতো ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় তাকে ঢুকিয়ে দাও৷ ব্যস, এরপর আর কি চিন্তা৷ নিয়মিত যোগাযোগ, খোঁজ খবর সবই হবে তখন৷ শুধু তাই নয়, প্রেমিক প্রেমিকার প্রেম নিবেদনেও ফেসবুককেই দেখা যাচ্ছে অগ্রণী ভূমিকায়৷ সেখান থেকে তথ্য নিয়েই প্রেমিক জানছে প্রেমিকার পছন্দ-অপছন্দ, ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা৷

অবশ্য এতসবের মধ্যে বিপত্তিও কিন্তু কম বাধে না৷ কখনো কখনো ফেসবুকে বন্ধুর তুলে দেয়া ছবি ব্রিবত করতে পারে আপনাকে৷ দেখা গেলো কোন পার্টিতে একটি মেয়ের সঙ্গে আপনার গল্পের ছবিই উঠে গেলো ফেসবুকে৷ ফেসবুকে গড়া সম্পর্ক ভাঙতেও ভূমিকা রাখবে ফেসবুকই!

সে যাই হোক, ৪০ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষার নানা উপায়ও আছে ফেসবুকে৷ সেগুলো পরখ করে নিজের নিরাপত্তা নিজেই নিশ্চিত করে নিন৷ তাহলে নিয়মিত ফেসবুকিং হয়ে উঠবে অনেক বেশি আনন্দের৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারুক