1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যেতে হবে, কিন্তু যাব কেন’: মুবারক

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

অথচ না গেলে তিনি নিজেই তাঁর দেশের পক্ষে একটি ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, এবং সকলের পক্ষেই একটি বিড়ম্বনা৷

https://p.dw.com/p/10FbO
ছবি: AP

সব আশা এবং ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হল৷ মুবারক গেলেন না৷ যেন তাঁর স্বদেশ, স্বজাতিকেই উপহাস করছেন৷ যদিও এবার তাঁর আসন্ন পদত্যাগের গুজব ছড়িয়েছিল স্বয়ং মিশরীয় সামরিক বাহিনী, অর্থাৎ ক্ষমতার উৎস থেকে৷ অবশ্য সেই গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্য কি ছিল, তা'ও দুর্বোধ্য থেকে গেল৷

এমনকি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ পর্যন্ত ধরে নিয়েছিল, মুবারক খুব সম্ভবত পদত্যাগ করতে চলেছেন৷ রাজধানী কায়রো এবং মিশরের অন্যান্য শহরের পথে জমায়েত মানুষেরা মনে করেছিল, এবার সত্যিই তা'ই ঘটতে চলেছে৷ কাজেই তাদের হতাশা এবং ক্রোধ সহজেই বোধগম্য৷ প্রেসিডেন্ট মুবারক তাঁর দেশের জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে নিজের চাল চেলে যাচ্ছেন৷

মুবারক স্ব-আসনে বজায় থাকছেন, তবে তাঁর সরকারি ক্ষমতা উপরাষ্ট্রপ্রধান ওমর সুলেইমানের হাতে তুলে দিচ্ছেন৷ মুবারক নিজেকে বলছেন, দেশপ্রেমী এবং স্থায়িত্বের গ্যারান্টি৷ কিন্তু এ'সবই সর্বৈব মিথ্যা৷ মিশরের জনগণ সামাজিক বিচারে যথেষ্ট অন্যায়, এবং রাজনৈতিক বিচারে যথেষ্ট নিপীড়ন দেখেছে ও সহ্য করেছে৷ তারা চায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র৷ এবং সেক্ষেত্রে সারা জগতের সমর্থন তাদের প্রাপ্য - ইউরোপের তো বটেই৷

মুবারকের এই নাছোড়বান্দা মনোভাব কিন্তু প্রতিবাদ আন্দোলনের একাংশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে৷ এবং তার ফলে আবার সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা - এবং বিশেষ করে যুক্তি - মাথা চাড়া দিতে পারে৷ কাজেই মুবারক স্থায়িত্বের পরিবর্তে স্থিতিহীনতার উৎস হয়ে উঠতে পারেন৷

প্রতিবেদন: রাইনের জলিচ, অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী,

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার