যুদ্ধাপরাধ, সরকারবিরোধী আন্দোলন আর বিদ্যুৎ সংকট
৩০ মার্চ ২০১০বলছি বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোর কথা৷ সোমবারের পত্রিকাগুলোতে ইস্যু অনেক৷ আলোচনাও নানামুখী৷ অন্তত অধিকাংশ সংবাদপত্রের ইন্টারনেট সংস্করণ তাই বলছে৷ যুদ্ধাপরাধের বিচার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সবাই৷ একটি ভিন্ন ধরণের খবরকে প্রধান প্রতিবেদনের জায়গা দিয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক৷ আর তা হলো, শ্রমিকদের চাকরির বয়স বাড়ানো হয়েছে৷ আগে যেখানে তাদের চাকরির বয়স ছিল ৫৭ বছর, এখন তা করা হয়েছে ৬০ বছর৷ পত্রিকাটির ভাষ্য অনুযায়ী, শিল্প, বস্ত্র, পাট, পরিবেশসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত শ্রমিকরা এখন থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন৷
সরকারবিরোধী আন্দোলন
অবশ্যই, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তরসহ প্রায় সব পত্রিকাই বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে৷ প্রথম আলোর ইন্টারনেট সংস্করণের শিরোনাম, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে খালেদার আহ্বান'৷ বুঝতেই পারছেন, বেগম জিয়ার বক্তব্য থেকেই তৈরি হয়েছে এই শিরোনাম৷ খালেদা জিয়ার দাবি, বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন ১০ জন করে মানুষ খুন হচ্ছে৷ একইসঙ্গে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের তীব্র সংকট মোকাবিলায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হচ্ছে৷ এরকম নানা কারণ দেখিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন খালেদা জিয়া৷
বিদ্যুৎ সংকট
সরকারের উদ্যোগ তো রয়েছেই৷ গতকালই আমরা আলোচনায় বলেছিলাম দীর্ঘমেয়াদে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চেষ্টা করছে সরকার৷ আজকেও পত্রিকা এবং বার্তামাধ্যমগুলোতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দেখা যাচ্ছে৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কম তার প্রধান শিরোনামে বলছে, ‘সার কারখানার গ্যাস যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে'৷ মানে আপাতত বাংলাদেশে সারের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহার করবে সরকার৷ আর এই উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে সেচ কাজে৷ কারণ সেচ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ না পেয়ে কৃষকরা সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় ঘেরাও করেছে৷ আর তাই সরকার চাইছে তাদের চাহিদা জরুরী ভিত্তিতে মেটাতে৷ এই খবরটি অন্যান্য পত্রিকাতেও দেখা গেছে৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী