1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধের সরেজমিন তদন্ত শুরু হচ্ছে

১৩ আগস্ট ২০১০

লোকবল এবং পরিবহন সমস্যা কাটিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সরেজমিন তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/OnC9
নিজামীর বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তুতির নেওয়া হচ্ছেছবি: Mustafiz Mamun

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত কাজ এতদিন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল৷ চলতি সপ্তাহেই নতুন জনবল নিয়োগ এবং গাড়ি দেওয়া হয়েছে৷ ফলে শিগগিরই সরেজমিন তদন্ত শুরু করা যাচ্ছে বলে জানালেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক৷

তিনি জানান, জামাতের চার শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের সরেজমিন তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷

অভিযোগ রয়েছে, নিজামী ও মুজাহিদ মূলত ঢাকায় বসেই সারাদেশের আলবদর বাহিনীকে সংগঠিত করেছিলেন৷ তবে নিজামীর গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়ায় তার যুদ্ধাপরাধের অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে৷ আর মুজাহিদ ফরিদপুর ছাড়াও ঢাকার ফকিরাপুলে বসে অনেক অপরাধ সংঘটিত করেন৷

কাদের মোল্লা মিরপুরের মুসলিম বাজার ও বাংলা কলেজ বধ্যভূমি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ৷ তার নিয়ন্ত্রণে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় রাডার ক্যাম্প নামে একটি ক্যাম্প ছিল৷ কামারুজ্জামান ঢাকা ছাড়াও শেরপুরে একটি রাজাকার ক্যাম্প পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ৷ ওই ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হতো৷ এছাড়া পিরোজপুরের পাড়েরহাটে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে৷

এই সব স্থানেই তদন্ত দল যাবে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক৷ তিনি বলেন, এসব এলাকা ছাড়াও তদন্ত দল পর্যায়ক্রমে সারাদেশ ঘুরে যুদ্ধাপরাধের সাক্ষ্য এবং আলামত সংগ্রহ করবেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম