1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হামলা

২ জুন ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হামলার ঘটনা সংবাদমাধ্যমের ক্ষয়িষ্ণু স্বাধীনতার বিষয়টিই তুলে ধরছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশও ট্রাম্পের সংবাদমাধ্যমবিরোধী কৌশল অনুসরণ করছে৷

https://p.dw.com/p/3d8B4
ছবি: Getty Images/E. Nouvelage

গণতন্ত্র এখন সংকটে৷ এবং এই বিপদ আর গোপন বিষয় নেই৷ প্রায় সারা বিশ্বেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে৷ এমন দেশগুলোর তালিকায় পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোও রয়েছে৷

লক্ষণীয় বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলে কিন্তু রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কোনো সেন্সরশিপ নেই৷ যা আছে তা হলো প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং জায়ের বোলসোরানোর সমাজে ত্রাস এবং বিভেদ সৃষ্টির প্রয়াস আর নানা ধরনের অলংকারিক কথাবার্তায় মিডিয়াকে ভয়ঙ্কর চাপের মুখে রাখার প্রবণতা৷

বিপদজনক এই প্রবণতা যে শুধু অ্যামেরিকা মহাদেশের এই দুই দেশেই দেখা যাচ্ছে তা কিন্তু নয়৷ ইউরোপের দেশ মাল্টা, মন্টেনেগ্রো, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, যুক্তরাজ্য, চেক প্রজাতন্ত্র এবং ইতালিতেও তা দৃশ্যমান৷

গণমাধ্যম যেন শত্রু

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএস)-এর জার্মান শাখার পরিচালক ক্রিস্টিয়ান মির মনে করেন, ‘‘ট্রাম্প গণমাধ্যমকে সবসময় দৈত্য এবং শত্রুর মতো করে তুলে ধরেন৷ গত কিছুদিনে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা সাংবাদিকদের ওপর অন্তত ৬৮ টি হামলার তথ্য পেয়েছি৷’’ যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইউএস প্রেস ফ্রিডম ট্র্যাকার সংবাদকর্মীদের ওপর আরো ২৬ টি ঘটনার তথ্য পেয়েছে৷

পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতিবেদন প্রচারের সময় সিএনএনের প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ রয়টার্সের দুজন এবং সুইডেনের এক সংবাদপত্রের এক প্রতিনিধি পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন৷ এছাড়া ডয়চে ভেলের প্রতিবেদক স্টেফান সিমওন্সের ওপর চড়াও হয়েছিল পুলিশ৷

DW Video-Screenshot | Stefan Simons in Minneapolis
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদক স্টেফান সিমওন্সের ওপর চড়াও হয়েছিল পুলিশ

নিরাপত্তাহীনতার কারণে গত ২৫ মে ব্রাজিলের প্রথম সারির সব সংবাদমাধ্যম প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে গিয়ে আর কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ সংবাদকর্মীদের অভিযোগ, সেখানে গেলে প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাদের হয়রানি করেন, অথচ সাংবাদিকদের রক্ষায় নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে আসে না৷

প্রেসিডেন্ট বোলসোরানো প্রায় নিয়মিতই সাংবাদিকদের অপমান করেন৷ মে মাসের প্রথম দিকে পুলিশ প্রধানকে বরখাস্ত করার কারণ জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা, জবাবে প্রেসিডেন্ট বলে ওঠেন, ‘‘চুপ করুন!’’ এর আগে মার্চ মাসে প্রেসিডেন্টের কিছু সমর্থক ‘‘সাংবাদিকরা জনগণকে প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছেন’’ এমন অভিযোগ তুললে প্রেসিডেন্ট তাতে মাথা নেড়ে সায় দিয়েছিলেন৷

ইউরোপের ২৫ দেশে ১৪২ আক্রমণ

ইউরোপেও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে৷ কাউন্সিল অফ ইউরোপ’স প্ল্যাটফর্ম টু প্রোটেকশন অফ জার্নালিজম অ্যান্ড সেফটি অফ জার্নালিস্টস-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ইউরোপের ২৫টি দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার মোট ১৪২টি ঘটনা ঘটেছে৷

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বলছে, ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া, মালটা এবং যুক্তরাজ্যে সংবাদমাধ্যম চাপের মুখে রয়েছে৷ তারা আরো বলেছে, যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নিয়মিত সংবাদমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করে৷

আস্ট্রিড প্রাঞ্জে/এসিবি

২০১৮ সালের নভেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...